1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হওয়া এ শতাব্দীর অনিবার্য সত্য।। হিরন্ময় রায়

  • আপডেট টাইম :: মঙ্গলবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১১.১৫ এএম
  • ২৯৬ বার পড়া হয়েছে

নির্বাচনের বছরের হাই ভোল্টেজ সময়ে এসে পড়েছে দেশ। এখন নানা নেতিবাচক ধরণের খবর মানুষের মনে হতাশার জন্ম দিবে, এটাই সত্য। গত ১৭/০৯/২০১৭ খ্রি. তারিখ জাতীয় দৈনিক ” কালের কন্ঠ” পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে ” যে যুদ্ধে বিপদে পড়তে চলেছে বাংলাদেশ! আমরা কি প্রস্তুত?” শিরোনামে রেইনবো সোয়েটার গার্মেন্টেস এর মালিক জনাব সুলতান রাহাত এর ফেসবুক স্ট্যাটাসের বরাত দিয়ে একটি নিউজ ছাপা হয়। খবর মোতাবেক বাংলাদেশের অগ্রগতি শুধুমাত্র রেডিমেড গার্মেন্টস সেক্টরের উপর নির্ভর করে এগিয়ে চলছে। চীনের প্রভাবাধীন আফ্রিকা মহাদেশে চীনের গার্মেন্টেস সেক্টরে বিনিয়োগ, আগামীতে বাংলাদেশকে গভীর চ্যালেঞ্জ ও সংকটে ফেলবে এবং বাংলাদেশ ভেনিজুয়েলার মতে সংকটে পড়তে যাচ্ছে। সংকটের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে এমন একটি দিক নিয়ে দুশ্চিন্তায় তাঁর দেশপ্রেমের পরিচয় পাওয়া যায়। কিন্তু অপার সম্ভবনাময় বাংলাদেশের উন্নয়নে আগামীতে যে অব্যহৃত খাতগুলো তার ক্ষেত্র সৃষ্টি করছে সে তথ্য সম্পর্কে তার কলাম অনুচ্চারিত থেকেছে।
স্থিতিশীল বাংলাদেশ আগামী দু’দশকে উন্নত রাষ্ট্রে পৌছে যাবে, যা এ শতাব্দীর এক অনিবার্য সত্য। বাংলাদেশ এখন শুধু গার্মেন্টস সেক্টরের উপর নির্ভর নয়। ঔষধ শিল্প লিড নিবে কিছু দিনের মধ্যেই। আমাদের সমুদ্রসীমা নির্ধারণ হয়েছে। সমুদ্র সম্পদ আহরনে সক্ষমতা অর্জনে বাংলাদেশে এগিয়ে যাচ্ছে। জাহাজ নির্মাণ শিল্প এগোচ্ছে সন্তপর্নে। বাংলাদেশে ভৌগলিকভাবে ভারত, মায়ানমার, চীন, নেপাল, ভুটানের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে আছে। প্রস্তাবিত সিল্ক রোড, এশিয়ান হাইওয়ে বাংলাদেশে রয়েছে এন্ট্রি ও আউট পোস্টের সুবিধা নিয়ে। তিনটি সমুদ্র বন্দর ও প্রস্তাবিত গভীর সমুদ্র বন্দর নিয়ে অচিরেই বাংলাদেশ এশিয়ার অর্থনৈতিক লাইফ লাইনে পরিণত হতে যাচ্ছে। সিঙ্গাপুর শুধুমাত্র সমুদ্র বন্দর হ্যান্ডেলিং করে শীর্ষ ধনী দেশের কাতারে পৌছে গিয়েছে। আর বাংলাদেশের রয়েছে সমুদ্র ও স্থল বন্দর সুবিধা। আর এ সুবিধা ভোগ করতে চায় ১৫০ কোটি লোকের দেশ ভারত, নেপাল, ভুটান, মায়ানমার। চীনের প্রস্তাবিত ওয়ান বেল্টে বাংলাদেশ রয়েছে কী পয়েন্টে।এই খাতে শুল্ক আদায়ই হবে আগামীর মূল রাজস্ব আদায়ের খাত। প্রয়োজন বলিষ্ঠ নেগোসিয়েশন। আমরা আমাদের খাদ্য উৎপাদন করি, বস্ত্র তৈরী করি, ঔষধ তৈরী করি। বেসিক নিডগুলো মিট করতে কারো উপর আমাদের নির্ভর করতে হয় না। এর উপর আগামী ২০৩০ সাল পর্যন্ত এদেশে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী থাকবে প্রায় সত্তর ভাগ। দেশের বিভিন্ন জেলায় গড়ে উঠছে হাইটেক সিটি ও ট্যাকনিকেল ইনস্টিটিউট। ফলে আমরা রেডি হচ্ছি আগামীর শীর্ষ অর্থনীতির দেশ হিসেবে।
শুধুমাত্র রাজনৈতিক স্থিতিশীল অবস্থা বজায় রাখা আর জঙ্গীবাদী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করাই মূল সমস্যা। দেশের স্বার্থে সকলকে এসব মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!