এম এ মোতালিব ভুঁইয়া :
দোয়ারাবাজারে মোবাইলে মেমোরি ডাউন লোডের দোকানগুলোতে প্রকাশ্যেই চলছে পর্নোগ্রাফি ডাউন লোডের ব্যবসা। যে কারণে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী ও উঠতি বয়সের সন্তানদের নিয়ে বেকায়দায় পড়েছে অভিভাবক মহল। দেশের অবৈধ এ পর্নোগ্রাফি ও অশ্লীল ভিডিও চিত্র মোবাইলের মেমোরিতে ধারণ ও বিপনণ ব্যবসা প্রতিহত করার লক্ষ্যে একটি আইন থাকলেও এ আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে উপজেলার কম্পিউটারের দোকান থেকে দেদারছে চালানো হচ্ছে অবৈধ অশ্লীল ভিডিও লোড কার্যক্রম।
জানা গেছে দোয়ারাবাজার উপজেলার নরসিংপুর বাজার, বাংলাবাজার, বগুলাবাজার, মহব্বতপুর বাজার, পশ্চিম বাংলাবাজার, চকবাজার, টেংরাবাজার, টেবলাইবাজার, বালিউড়াবাজার, চাইরগাও বাজার, নাছিমপুর বাজার, আমবাড়ী বাজার, শ্রীপুরপান্ডারগাও নতুন বাজার, মঙ্গল পুর বাজার, দোহালিয়া বাজারসহ প্রায় বাজার, রাস্থার মোড়ে গড়ে উঠেছে কম্পিউটারে মেমোরি ডাউন লোডের দোকান। যেখানে উচ্চ শব্দে গান বাজানোর ফলে শব্দ দুষনে সুধী সমাজের যাতায়াতে প্রতিনিয়ত বিরম্বনায় পড়তে হয়। অনুসন্ধানে জানা গেছে উপজেলার বেশিরভাগ কম্পিউটারের দোকানে দিন রাত প্রকাশ্যেই মেমোরি লোড ও সিডি, ডিভিডি রাইটিং কর্মকান্ডের মাধ্যমে সমাজের জন্য ক্ষতিকর নীল ছবির জমজমাট ব্যবসা চলছে। মাত্র ১০/১৫ টাকার বিনিময়ে খুব সহজেই এসব পর্নো ছবি লোড করতে পারায় দোকান গুলোতে উঠতি বয়সের যুবক ও ছাত্রদের ভীড় লেগেই থাকে। ফলে সমাজের স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন পেশার মানুষ মোবাইলের মধ্যে পর্নো ছবি লোড করে দেখছে। যার ফলে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ বিপথগামী হচ্ছে। অপরদিকে স্কুল চলাকালে বিভিন্ন বাজারে কম্পিউটার দোকানগুলোতে নীল ছবি দেখানো হচ্ছে। এতে করে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা পর্নোগ্রাফির দিকে আসক্ত হচ্ছে। উপজেলার সচেতন অভিভাবকগণ মনে করছেন অবৈধ এ পর্নো ছবি ব্যবসার ব্যবহৃত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান গুলোর সকল কম্পিউটার প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবিলম্বে জব্দ ও জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। নয়তো দিনে দিনে ধ্বংস হয়ে যাবে তাদের সন্তানদের জীবন।
দোয়ারাবাজার থানার ওসি সুশীল রঞ্জন দাস বলেন, অশ্লীল সিডি-ভিসিডি বিক্রি মোবাইলে আপলোড দ-নীয় অপরাধ। দোয়ারাবাজার থানা এলাকায় কম্পিউটার দোকানগুলোতে তা বিক্রি হচ্ছে- বিষয়টি আমি অবগত নই। তবে খোঁজ-খবর নিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীদের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী মহুয়া মমতাজ জানান, দোয়ারাবাজার সদরে আমি কম্পিউটার চেক করেছি, অন্যান্য বাজারে দ্রুত সময়ের মধ্যে ভ্রাম্যামাণ আদালতের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।