সাইফ উল্লাহ::
জামালগঞ্জের ভীমখালী ইউনিয়নের উজ্জ্বলপুর জাল্লাবাজ গ্রামের রাস্তার দু-পাশের অধিকাংশ জায়গা ভাঙ্গা থাকার কারনে ৫টি গ্রামের জনসাধারনের যাতায়তে ভোগান্তি হচ্ছে। রাস্তাটি ভাঙ্গা থাকায় প্রতিদিন যাত্রীরা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। ওই রাস্তাটি ভাঙ্গা থাকার কারণে যান চলাচল ও যাতায়াত বন্ধ রয়েছে। উজ্জ্বলপুর, উমেদপুর, ঘাঘটিয়া, শ্রীপুর, গোলামীপুর সহ আশপাশের এলাকার মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, গ্রামের শিক্ষার্থী, জনসাধারন ও ব্যবসায়ীগণ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। গেল বন্যায় সড়ক ক্ষতি হওয়ায় এলাকাবাসী কিছুদিন নিজ উদ্যোগে চাটাই দিয়ে রাস্তায় মাঠি আটকানোর ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। কিন্তু যতই দিন যাচ্ছে ভাঙ্গাটি ততই বৃহৎ আকার ধারন করছে।
গত বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় রাস্তার মাঝ খান সহ পুরো রাস্তাটি খালে পরিনিত হয়েছে। রাস্তাটি গেল বণ্যার সময় প্রবল ¯্রােতের টানে দুপাশেই ভেঙ্গে যাবার পর থেকে যাতায়াত হুমকির সম্মুখিন হয়ে পড়েছে। এবছরের বন্যায় উজ্জ¦লপুর জাল্লাবাজ রাস্তা প্রায় ১শত ৫০ মিটার ভেঙ্গে গিয়ে ফসলী জমি সহ ঘরবাড়ী তলিয়ে যায়। জামালগঞ্জ সুনামগঞ্জ বিকল্প রাস্তা তিনটি কালর্ভাট প্রচন্ড ঝুকির মুখে রয়েছে। যে কোন সময় ভেঙ্গে যেতে পারে। ঝুকি পুর্ণ ভাবে বসবাস করছে ওই গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দারা এবং শিক্ষা প্রতিষ্টান মসজিদ, মন্দির সহ গ্রামের রাস্তাঘাট ঘরবাড়ীর ঝুুকিপূর্ণ রয়েছে বলে একাদিক সুত্রে জানা যায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. বাবুল মিয়া জানান, ওই রাস্তাটি পূর্ণ নির্মাণ ও মেরামত না করলে ৫টি গ্রামে সর্বস্তরের মানুষ বিপাকে পড়বে। স্থানীয় গ্রামবাসী কামাল মিয়া (৬০), খলিল আহমেদ (৪৫), জালাল উদ্দিন (৫৫) ভাঙ্গছে কয়েক মাস অইয়ে গেল, অখন কেউ ঠিক করে দেয়না, খালি হুনি কাম অইবো কয়েক দিনের মাঝে।
উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুস সাত্তার বলেন, নদী ভাঙ্গন কাজটি এলজিডি’র নয় তবে এটা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজ।