অনলাইন ডেস্ক ::
আকাশপথে নিরাপত্তায় প্রতিবেশী দেশ ভারতের চেয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়া। ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গ্যানাইজেশনের (আইসিএও) বিশ্বব্যাপী ইউনিভার্সেল ওভারসাইট সেফটি অডিট প্রোগ্রাম ২০১৭ সালের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আইসএও-এর ওই নিরীক্ষায় বলা হয়েছে, আটটি পরিমিতির পাঁচটিতেই কার্যকর বাস্তবায়নে বৈশ্বিক গড় স্কোর পেতে ব্যর্থ হয়েছে ভারত। যে আটটি বিষয়ের ওপর বিমান নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করা হয় সেগুলো হলো, ব্যবস্থাপনা, প্রতিষ্ঠান, লাইসেন্স, অপারেশন, বিমান পরিচালনা যোগ্যতা, দুর্ঘটনার তদন্ত, বিমান পরিভ্রমণ সেবা এবং বিমানবন্দর।
এই বিষয়গুলো কতটা নিরাপদ এবং বিমান পরিচালনার ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলো কার্যকর কিনা সে বিষয়ের ওপর ভিত্তি করেই ওই নিরীক্ষা পরিচালনা করা হয়েছে।
এ ক্ষেত্রে প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ থেকে পিছিয়ে আছে ভারত। আইসিএওর মানদণ্ডে ওই আটটি গুরুত্বপূর্ণ মাপকাঠির কার্যকর বাস্তবায়নে ভারতের চেয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ।
আটটি প্যারামিটারের মধ্যে সাতটিতেই ভারতের চেয়ে ভালো স্থান অর্জন করেছে বাংলাদেশ। এছাড়া ইন্দোনেশিয়া সবগুলো ক্ষেত্রেই ভারতের চেয়ে ভালো অবস্থান অর্জন করেছে। অপরদিকে পাঁচটি প্যারামিটারে ভারতকে পেছনে ফেলে এগিয়ে আছে মালয়েশিয়া।
মাত্র কয়েকদিন আগেই ভারতের জেট এয়ারওয়েজের একটি বিমানে যাত্রীদের নাক ও কান দিয়ে রক্তক্ষরণের ঘটনা ঘটে। মাঝ আকাশে হঠাৎ করেই যাত্রীদের অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। অনেকেরই মাথা ঘুরছিল আবার কারো কারো নাক ও কান দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। মাঝ আকাশে হঠাৎ করেই বিমানের কেবিনের এয়ার প্রেসার কমে যায়। যার ফলে, শ্বাসকষ্ট শুরু হয় যাত্রীদের।
জেট এয়ারওয়েজের ওই ফ্লাইটটি মুম্বাই থেকে জয়পুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল। হঠাৎ করেই বিমানের এসি বিকল হয়ে যায়। কেবিন প্রেসার কমতে থাকে। কেবিনের এয়ার প্রেসার স্বাভাবিক রাখতে নির্দিষ্ট একটি সুইচ চাপতে ভুলে গিয়েছিলেন বিমানের ক্র সদস্যরা। ওই ঘটনার কয়েকদিনের মাথায় বিমান নিরাপত্তার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলো।