স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জ শহরতলীর মাইজবাড়ি গ্রামে ‘প্রেমিকার সম্মুখে প্রেমিক কর্তৃক অপমানের প্রতিশোধ’ নেওয়ার ঘটনায় যুবককে খুনের মামলায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও আরেকজনকে যাবজ্জীবন দণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার দুপুরে সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এ আদেশ দেন।
মামলার তিন আসামির মধ্যে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অন্যজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন, জেলার ধর্মপাশা উপজেলার তেলিপাড়া গ্রামের পাকি মিয়ার ছেলে মো. বাদল মিয়া। সুনামগঞ্জ পৌরসভার নতুন হাছননগর গ্রামের মৃত আব্দুল মন্নানের ছেলে শফিক মিয়াকে যাবজ্জীবন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। অপর আসামি ধর্মপাশা উপজেলার তেলিপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে মো. জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১০ জানুয়ারি সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মাইজবাড়ি গ্রামে অনুষ্ঠিত একটি ওয়াজ মাহফিল এলাকায় এক তরুণীকে নিয়ে ঘুরাফেরা করছিল ওই তিন যুবক। একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানের কাছে এমন কর্মকাণ্ড না করার জন্য তাদের নিষেধ করেন ইয়াকুব। এতে ‘প্রেমিকার সম্মুখে অপমানবোধ’ করেন কথিত প্রেমিক বাদল মিয়া। এর প্রতিশোধ ওই রাতেই ইয়াকুব ওয়াজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে সহযোগীদের নিয়ে উপর্যপরি ছুরিঘাত ইয়াকুবকে গুরুতর আহত করা হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় নিহতের ভাই হযরত আলী বাদি হয়ে তিন জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে মঙ্গলবার দুপুরে দুই আসামির বিরুদ্ধে ফাঁসি ও যাবজ্জীবনের দ-াদেশ ও একজনকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।