অনলাইন::
নিজেদের বিভিন্ন অপকর্মের ফলেই দীর্ঘ দিন পর উন্মুক্ত স্থানে জনসভা করতে হচ্ছে বিএনপিকে। সকল প্রস্তুতি শেষ করে জামায়াতের পর্যাপ্ত উপস্থিতিতে আজ রবিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপি আয়োজিত জনসভা অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে শনিবার দুপুরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পরিদর্শন করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ জ্যেষ্ঠ নেতারা।
বিএনপির এই জনসভায় জামায়াত থাকছে কি থাকছে না; সেটা নিয়ে বিএনপির এ নেতা বলেন, বিএনপির রবিবারের জনসভায় ২০ দলের শরিক জামায়াতে ইসলামীকে কৌশলগতভাবে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। তবে জনসভার আগে দিনব্যাপী নেয়া বিভিন্ন উদ্যোগের বিষয় জামায়াতকে বুঝিয়ে বলবে দলটি।
জামায়াতের উপস্থিতি নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আলাদা কমিটি গঠন করেন। তার নেতৃত্বে আট সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটি বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে জামায়াত নেতাকর্মীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করবে বলে জানা যায়।
একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, আজকের জনসভায় জামায়াত শিবিরের কর্মীদের শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে বার্তা পাঠিয়েছেন জামায়াতের শীর্ষ নেতা মিয়া গোলাম পরওয়ার ও মকবুল আহমেদ। তাছাড়া, জামায়াত শিবির সমর্থিত বিভিন্ন অনলাইন পোর্টাল/পেজ/গ্রুপ কর্তৃক উক্ত সভাস্থল কাভারেজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় কোন গুজব ছড়ানোর কাজও যাতে সুক্ষ্ণভাবে সম্পাদন করা যায় সে লক্ষ্যে প্রস্তুতি রাখতেও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এদিকে গোপন সূত্রে জানা গেছে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য এহসানুল মাহবুব জুবায়ের সমাবেশে করণীয় নিয়ে ফখরুলের সাথে কথা বলার এক পর্যায়ে বলেন, আমাদের সিকিউরিটি নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের উপস্থিতি সম্পর্কে কাউকে বলা যাবে না। তাছাড়া আমাদের সাথে সরাসরি ফোনে যোগাযোগ না করে, ইন্টারনেট সংযুক্ত অন্য কোন মাধ্যম ব্যবহার করে যোগাযোগ করতে হবে। নাশকতার প্ল্যান আমাদের হাতে ছাড়তে হবে। কারণ, পরিস্থিতি বুঝে আমরা কাজ করবো।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসমাবেশ ঘিরে সহিংস ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মঞ্চ তৈরির সঙ্গে জড়িত সোহেল নামের একজন বলেন, ‘আমরা সন্ধ্যা থেকে মঞ্চ বানানোর কাজ শুরু করি। এর মাঝে বিএনপির নেতারা বহুত আইসে। তাদের কথা খুব একটা সুবিধাজনক মনে হয় নাই। আমি অশিক্ষিত মানুষ এত কিছু বুঝি না, এত মাইনসেরে চিনিও না। তবে বড় বড় নেতাদের দূরে গিয়ে ইশারায় স্পট দেখিয়ে কি কি যেন বলতাছিলো।’
তাছাড়া সূত্র জানায়, বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ার প্রয়োজনে কৌশলী ভূমিকা নেওয়ার বিষয়ে জামায়াতের সঙ্গে আলোচনা করবে বিএনপি। জামায়াত যাতে কোন বিষয় নিয়ে মনোক্ষুণ্ণ না হয় সেটিও খেয়াল রাখবে বিএনপি। অর্থাৎ যত চাপই আসুক এই মুহূর্তে জামায়াতের সঙ্গ ছাড়তে চাইছে না দলটি।
শনিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার বিএনপিকে ২২ শর্তে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করার অনুমতি দেন। এরপরই মাঠ দেখতে যান বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা। সেখানে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আগামী কালের জনসভায় অংশ নেওয়ার জন্য দলের সকল নেতাকর্মীদের পাশাপাশি জামায়াতকে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।