বা্সস::
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাম্প্রদায়িক অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার জন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
তিনি আজ দুপুরে রাজধানীর রমনাস্থ ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সাম্যবাদী দলের ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহবান জানান।
সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে দলের পলিটব্যুরোর সদস্য মো. লুৎফর রহমান ও বিরেন সরকারসহ কেন্দ্রীয় ১৪ দলের অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ আমরাও জাতীয় ঐক্য চাই। সাম্প্রদায়িক অশুভ শক্তি, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি, নষ্ট রাজনীতিক, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির মধ্যে আমরাও জাতীয় ঐক্য চাই।’
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর প্রশ্নে আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হই। কারণ মুক্তিযুদ্ধকে বাঁচাতে ও আমাদের অস্তিত্বকে রক্ষা করতে বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অপরিহার্য। আর দেশের মানুষ তাঁর ওপর আস্থাশীল।
কাদের বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুকে ভালবাসেন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিশ্বাস করেন, তারা নিজেদের মধ্যে সামান্য ভুল বুঝাবুঝির জন্য মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে দূর্বল করবেন না। কারণ দূর্বলতার সময় শত্রুরা আঘাত করে।
তিনি বলেন, দেশের কয়েকজন নেতা যতটা না আওয়ামী লীগ বিরোধী, তার চেয়ে তারা বেশী শেখ হাসিনা বিদ্বেষী। তারা আওয়ামী লীগকে নয়, শেখ হাসিনাকে হটাতে চায়।
কাদের বলেন, ‘বিদেশে যে চক্রান্ত হচ্ছে তার মূল টার্গেট বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাকে হত্যা করারও পায়তারা করছেন তারা। আবারো তাকে ঘিরে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।’
দেশের বামপন্থী রাজনীতিকরা যে সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে কোন ধরনের ঐকে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এটা দেশের রাজনীতির একটি বড় ধরনের গুনগত পরিবর্তন বলেও উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে হয়রানী মূলক মামলা দেওয়া হচ্ছে বলে বিএনপির অভিযোগের জবাবে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা চাই না কারো বিরুদ্ধে হয়রানী মূলক মামলা হোক। পুলিশের কাছে তথ্য রয়েছে বিএনপি-জামায়াত ২০১৪ সালের মত নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য পরিকল্পনা করছে।
তিনি বলেন, পুলিশ এ ধরনের তথ্যের ভিত্তিতে মামলা করলে তাকে হয়রানীমূলক মামলা বলা যায় না। কারণ যে কোন ধরনের নাশকতার তথ্য থাকে গোয়েন্দাদের কাছে, আওয়ামী লীগের কাছে নয়।
বিএনপির নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা প্রয়োজনে আদালতে যান, নিজেদের নির্দোষ প্রমান করুন। আদালত নিরপেক্ষ ও স্বাধীন।
দিলীপ বড়ুয়া বলেন, বিএনপি-জামায়াত দেশের আদর্শের সঙ্গে সবসময় বেঈমানী করেছে এবং সুযোগ পেলে ভবিষ্যতেও করবে। তাদের দিয়ে দেশের কোন উন্নয়ন হবে না।
তিনি বলেন, বিএনপিকে পরিচালিত করে তারেক রহমান, আর তারেক রহমানকে পরিচালিত করে জামায়াত। আর তাদের গণতন্ত্র হচ্ছে যে কোন মূল্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যূত করা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিসর্জন দেওয়া।
দিলীপ বড়–য়া বলেন, তাই আগামী জাতীয় নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নির্বাচিত করতে হবে। কারণ টেকসই উন্নয়নের জন্য টেকসই নেতৃত্ব দরকার। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার জন্যই আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিজয়ী করতে হবে।