জাকির হোসেন, বিশ্বম্ভরপুর::
সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় সরকারি কোনো কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকায় গড়ে ওঠছেনা দক্ষ জনশক্তি। ফলে তরুণদের বিরাট একটি গোষ্ঠী বেকার আছে। বেকার থাকার ফলে এই তরুণরা নানা অসামাজিক কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়ছে। দক্ষ জনশক্তি ও মানবিক মূল্যবোধে গড়ে ওঠা প্রজন্মের জন্য কারিগড়ি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালুর দাবি জানিয়েছেন উপজেলাবাসী।
জানা গেছে উপজেলায় নন এমপিওভুক্ত টেকনিক্যাল কলেজ ১টি, নন এমপিও ভুক্ত কলেজ ১টি, এমপিও ভুক্ত ডিগ্রী কলেজ ১টি। এমপিওভুক্ত ফাজিল মাদ্রাসা ১টি, এমপিওভুক্ত উচ্চ বিদ্যালয় ১০টি, দাখিল মাদ্রাসা ৬ টির মধ্যে এমপিওভুক্ত ৩টি, ননএমপিওভুক্ত ৩টি। উপজেলার ১৮০ গ্রামের প্রায় ৩ লাখ মানুষের জন্য মাত্র ২০টি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। জনসংখ্যা অনুপাতে উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ পর্যায় মাত্র ২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তবে সরকারি কোন গারিগড়ি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকায় শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে আছে।
জন সংখ্যার তুলনায় বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একেবারে নেই বললেই চলে। উপজেলার জন সংখ্যা প্রায় তিন লাখ ছাড়িয়ে। অন্য দিকে রয়েছে ২৭৫ টি গ্রাম। প্রায় ৬০টি গ্রামের জন্য ১টি মাত্র কলেজ। প্রায় ১০টি গ্রামের জন্য ১টি মাত্র উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্টান। তাছাড়া দুর্গম এলাকার কারণে কোনো কোন শিক্ষার্থী কে প্রায় ১০কিলোমিটার পযর্ন্ত পায়ে হেটে শিক্ষা প্রতিষ্টানে যেতে হয়।
শক্তিয়ার খলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহানুর আলম বলেন, আমার বিদ্যালয়ে ছাত্র -ছাত্রী সংখ্যা ৯৩৭ জন। কিন্তু শ্রেণী কক্ষে পর্যাপ্ত বসার ব্যবস্তা না থাকায় ছাত্র -ছাত্রীদের অনেক সময় দাড়িয়ে ক্লাস করতে হয়। আমাদের অবকাঠামো উন্নয়ন জরুরি।
এলাকাবাসী ননএমপিও প্রতিষ্ঠানগুলো এমপিওর পাশাপাশি সরকারিভাবে একটি কারিগড়ি প্রতিষ্টান চালুর দাবি জানান।