আরিফ বাদশা::
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম বলেছেন, যারা বাল্যবিয়ে সহযোগিতা করবে তাদের প্রত্যেককেই আইনের আওতায় আনা হবে। বাল্য বিবাহের জন্য ছেলে ও মেয়ের উভয় পরিবারের পিতা মাতা, কাজী, ইমাম, পুরোহিত, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সচিবসহ যারা বাল্যবিয়ে কার্যক্রমে যুক্ত থাকবে তাদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবেনা। সামাজিক ব্যাধি বাল্য বিবাহ ও ইভটেজিংকে কঠোর হস্তে দমন করার ঘোষণা দেন জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম।
মঙ্গলবার সকালে জামালগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার মাঠে জামালগঞ্জ উপজেলাকে বাল্য বিবাহ মুক্ত ঘোষনা কালে প্রধান অতিথির বক্তব্য কালে উপরোক্ত কথা গুলো বলেন তিনি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা টিটন খীসার সভাপতিত্বে ও ইউপি সচিব অজিত রায়ের পরিচালনায় অনুষ্টানে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজা আক্তার দিপু, ভাইস চেয়ারম্যান রশীদ আহমদ, অবসর প্রাপ্ত উপসচিব রইছ উদ্দিন, সাচনা বাজারের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম শামীম, উপজেলা আ.লীগের সাধারন সম্পাদক এম নবী হোসেন, কৃষি কর্মকর্তা ডা: সাফায়েত আহমদ সিদ্দিকী, থানার অফিসার ইনচার্জ আতিকুর রহমান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইউসুফ আল আজাদ, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নূরুল হক আফিন্দি, ভীমখালীর চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান চৌধুরী, জামালগঞ্জ মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: লুৎফুর রহমান, সহকারী শিক্ষিকা ইয়াসমিন চৌধুরী, জামালগঞ্জ সদরের নিকাহ রেজিষ্টার কাজী শরফুল বাশার, সাংবাদিক অঞ্জন পুরকায়স্থ, ওয়ালী উল্লাহ সরকার, বালিকা বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেনীর ছাত্রী তামান্না আক্তার।
অনুষ্টানের শুরুতে বালিকা বিদ্যালয় ও সুনামগঞ্জের শিল্পী রাকিবা ইসলাম ঐশি সঙ্গীত পরিবেশন করেন। অনুষ্টানে ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান চৌধুরী, ফেনারবাকের চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু তালুকদার, বেহেলীর চেয়ারম্যান অসীম তালুকদার, ভীমখালীর চেয়ারম্যান দুলাল মিয়া, বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিধান ভুষন চক্রবর্তী, প্রেসক্লাবের সাংবাদিকগন, বিভিন্ন ইউনিয়নের নিকাহ রেজিষ্টারগন, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সদস্যাগন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানের প্রধান ও ছাত্রছাত্রীরা সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘স্কুলে বিদ্যা, জমিতে ধান, মাঠে গান’ এটা হাওরের সংস্কৃতির স্বাভাবিক চিত্র। তিনি বলেন, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসকদের সম্মেলনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সামনে সুনামগঞ্জকে তুলে ধরেছি। এই এলাকার মানুষ পানি বন্দী, প্রবল ঢেউ,ব জ্রপাতে প্রানহানী ঘটে। তাৎক্ষনিক প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা মন্ত্রীকে হাওর এলাকায় আবাসন শিক্ষার ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছেন। শিক্ষার মান তুলে ধরে জেলা প্রশাসক বলেন, শিক্ষা ও শিক্ষার মান উন্নয়নে জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, অভিভাবক, সুশীল সমাজসহ সকলকে এক যুগে কাজ করতে হবে। হাওর অঞ্চলের শিক্ষার জন্য শিক্ষকদেরকে আরো দায়িত্বশীল ও সচেতন হতে হবে। কোমলমতি ছাত্রদেরকে বিদ্যালয়ে আসার জন্য উৎসাহিত করা ও নিজেরা সব সময় পাঠ দানের ক্ষেত্রে আরো বেশী করে মনোযোগী করে তোলার জন্য অভিভাকদের প্রতি আাহ্বান জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, যার যার অবস্থান থেকে দেশের জন্য কাজ করে যাবেন। সব কাজে লাভের আশা না করে সাধারন মানুষের কল্যানে নিজেকে নিয়োজিত রাখুন। মেয়েদের শিক্ষার কোন বিকল্প নেই,মেযেদেরকে অবহেলা করবেননা,ছেলেদের মত তাদেরকেও পড়ালেখায় বেশী করে উৎসাহিত করুন।