স্টাফ রিপোর্টার::
দেবীর বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে আজ সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে হিন্দু ধর্মাবলম্বিদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। ষষ্টীপূজার মাধ্যমে দেবীকে আরাধনা করবেন ভক্তবৃন্দ। আগামী ১৯ অক্টোবর বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে দুর্গাপূজা। সুনামগঞ্জ জেলায় এবার ৩৮৬টি মণ্ডপে পূজা উদযাপিত হবে। ভক্তবৃন্দ দেবীকে সাজিয়ে নানা রঙে আকর্ষণীয় করে অর্ঘ্য দেওয়ার জন্য প্রস্তত রেখেছেন।
আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও সাড়ম্বর এই সার্বজনীন উৎসবকে ঘিরে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে। আনসার পুলিশের পাশাপাশি প্রয়োজনে অন্যান্য নিয়মিত বাহিনীও মাঠে থাকবে। কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়ে রেখেছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এদিকে পুজোকে কেন্দ্র করে হিন্দু ধর্মাবলম্বিদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে। প্রতিটি ম-পকেই সাজানো হয়েছে মনের মতো করে। সুনামগঞ্জ জেলা শহর, ছাতক, জগন্নাথপুরে দৃষ্টিনন্দন ম-পের মাধ্যমে দেবীকে বরণ ও বিসর্জনের ব্যবস্থা করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
সুনামগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন শান্তি ও সম্প্রীতির বাণী ছড়িয়ে দিতে সকল পূজার্থীদের আহ্বান জানানো হয়েছে। সারা দেশের ন্যায় ধর্মীয় সম্প্রীতির মধ্য দিয়ে এ উৎসব উদযাপন হবে বলে আশা করছেন তারাা।
দেবী সীতাকে উদ্ধারে লংকার রাজা রাবণকে বধ করতে শরৎকালে দেবীকে আহ্বান করেছিলেন রাজা রামচন্দ্র। সেই ঐতিহ্যকে ধারণ করে প্রতি শরতেই মর্তে আসেন দেবী দুর্গা। পাঁচদিনের উৎসব আনন্দ শেষে দশমীতে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে বিদায় নেন মহামায়া দেবী দুর্গা।
পাঁচদিনের উৎসবে যথাক্রমে দুর্গাষষ্ঠী, মহাসপ্তমী, মহাঅষ্টমী, মহানবমী ও বিজয়া দশমী নামে পরিচিত। আনন্দ উদযাপন শেষে দশমীতে দেবীকে চোখের জলে বিদায় দেন ভক্তরা। উৎসবের দিনগুলোতে ম-পে ম-পে নৃত্য, ধর্মীয় সঙ্গীত, ভোগ ও লুট বিতরণসহ নানা আচারাদি থাকে। প্রয়াতের উদ্দেশ্যে স্মৃতিতর্পনও করেন স্বজনরা।
সুনামগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এডভোকেট বিমান কান্তি রায় বলেন, জেলায় ৩৮৬টি মণ্ডপে এবার পূজা উদযাপন হবে। আমরা কেন্দ্রীয় নির্দেশনার আলোকে প্রতিটি মণ্ডপের নেতৃবৃন্দকে অনুষ্ঠানের নির্দেশনা দিয়েছি। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে আমরা আমাদের ধর্মীয় উৎসব উদযাপন করব। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও আমাদেরকে নানাভাবে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।
সদর থানার ওসি মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বিরা যাতে নির্বিগ্নে পূজা উদযাপন করতে পারেন সে জন্য আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঠে থাকবে। কেউ বিশৃঙ্খলা রক্ষার চেষ্টা করলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।