স্টাফ রিপোর্টার
আন্তর্জাতিক পরিবেশবাদী সংগঠন অঙ্গীকার বাংলাদেশের পরিচালকম-লীর সদস্য, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ও যুব ইউনিয়নের সাবেক নেতা বৃহত্তর সিলেটের প্রগতিশীল, সামাজিক আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ও দৈনিক সুনামগঞ্জের খবরের উপদেষ্টা সম্পাদক অ্যাড. মইনুদ্দিন আহমদ জালালের শোকসভায় বক্তারা বলেছেন,‘প্রগতিশীল ছাত্র ও যুবনেতা অ্যাড. মইনুদ্দিন আহমদ জালাল ছিলেন অসাম্প্রদায়িক রাজনীতিবিদ। তিনি ছিলেন গণমানুষের নেতা ও প্রেরণার বাতিঘর। ছিলেন পরোপকারী, সাহসী, সৎ ও নিষ্ঠাবান। সারাজীবন জনসাধারণের জন্য কাজ করে গেছেন। তিনি ছিলেন বিশাল হৃদয় ও মনের মানুষ। সারাজীবন মানুষের উপকার করে গেছেন। ছিলেন সাদা মনের মানুষ।’
বক্তারা আরও বলেন,‘অ্যাড. মইনুদ্দিন আহমদ জালাল ছিলেন সামাজিক ও রাজনৈতিক আন্দোলনের নেপথ্যের কারিগর। তিনি নিজেকে প্রকাশ করতে কুণ্ঠিত ছিলেন। অথচ তাঁকে ছাড়া এই অঞ্চলের প্রগতিশীল আন্দোলন সংগ্রামের কথা চিন্তাই করা যায় না। তিনি ছিলেন নেতৃত্ব তৈরির কুশলী কারিগর। ছিলেন সৃষ্টিশীল মানুষ। সবার কাছে সমানভাবে সমাদৃত ও ভালবাসার মানুষ। সবাই তাকে সমানভাবে ভালবাসতেন। তিনিও সবাইকে ভালবাসতেন। ’
স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে অনেকেই সভায় কেঁদে ফেলেন। তার আন্দোলন সংগ্রামের স্মৃতিচারণ করে বক্তারা বলেন,‘তিনি স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, সিমিটার বিরোধী আন্দোলন, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসের নামকরণ আন্দোলন, টিপাইমুখ বাঁধ বিরোধী আন্দোলনসহ সিলেট-সুনামগঞ্জ অঞ্চলের প্রতিটি ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন সংগ্রামে বলিষ্ট ভূমিকা পালন করেছেন।’
দৈনিক সুনামগঞ্জের খবরের আয়োজনে বৃহস্পতিবার রাতে শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এই শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়।
দৈনিক সুনামগঞ্জের খবরের উপদেষ্টা সম্পাদক অ্যাড. বজলুল মজিদ চৌধুরী খসরুর সভাপতিত্বে, সহকারি সম্পাদক অ্যাড. এনাম আহমদ ও সাবেক ছাত্রনেতা নরেন ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় শোকসভায় স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য দেন, সিনিয়র আইনজীবী ও কলামিষ্ট হোসেন তওফিক চৌধুরী, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাড. হুমায়ুন মঞ্জুর চৌধুরী, পৌরসভার মেয়র নাদের বখত, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি কবি রোকেস লেইস, জেলা সিপিবির সভাপতি চিত্তরঞ্জন তালুকদার, জেলা রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সেক্রেটারি অ্যাড. মতিউর রহমান পীর, বিশিষ্ট চিকিৎসক সালেহ আহমদ আলমগীর, জেলা ক্রিড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান ইমদাদ রেজা চৌধুরী, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও প্রয়াতের চাচাতো ভাই অ্যাড. আইনুল ইসলাম বাবলু, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. হায়দার চৌধুরী লিটন, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সালেহ আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুর রহমান সিরাজ, জেলা মহিলা পরিষদের সভাপতি গৌরী ভট্টাচার্য্য, জেলা বিএনপির সহ সভাপতি নাদির আহমদ, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সামছুল আবেদীন, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. শেরেনুর আলী, সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি অ্যাড. বোরহান উদ্দিন দুলন, সাবেক জিএস মোজাম্মেল হক মুমিন, জেলা উদীচীর সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম ও জেলা যুব ইউনিয়নের সভাপতি আবু তাহের।
সভায় বক্তাদের দাবির প্রেক্ষিতে পৌরসভার মেয়র নাদের বখত মরহুম মইনুদ্দিন আহমদ জালালের স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য সকলের সাথে আলাপ-আলোচনা করে পৌরসভার পক্ষ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করার আশ্বাস প্রদান করেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ অক্টোবর ভারতের শিলংয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অকালে মৃত্যুবরণ করেন অ্যাড. মইনুদ্দিন আহমদ জালাল।
শোকসভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান, পিপি (নারী শিশু) অ্যাড. নান্টু রায়, ক্রিড়া সংগঠক পারভেজ আহমদ চৌধুরী, কবি ইকবাল কাগজী, চিকিৎসক আলী আশরাফ সোহাগ, রাজনীতিবিদ অভিজিৎ চৌধুরী বিজিত, করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল, আতম মিসবাহ, সংস্কৃতি সংগঠক অঞ্জন চৌধুরী, সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র নুরুল ইসলাম বজলু, অ্যাড. নজরুল ইসলাম, অ্যাড. চাঁন মিয়া, অ্যাড. রুহুল তুহিন, অ্যাড. বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, অ্যাড. মলয় চক্রবর্তী রাজু, অ্যাড. প্রণব কান্তি দাস, অ্যাড. প্রসেনজিৎ দে, অ্যাড. সাহারুল ইসলাম, অ্যাড. মাহবুবুল হাছান শাহীন, অ্যাড. বিমান কান্তি রায়, অ্যাড. কল্লোল তালুকদার চপল, অ্যাড. জুয়েল তালুকদার, অ্যাড. অরুণাভ দাস, অ্যাড. আবুল হোসেন, অ্যাড. রেজওয়ান আহমদ, অ্যাড. কামাল হোসেন, প্রভাষক শুভংকর তালুকদার মান্না, এনামুল কবির, সাবেক পৌর কাউন্সিলর শামীম চৌধুরী সামু, আব্দুল্লাহ আল নোমান, লেখক ডা. মুরশেদ আলম, রাজনীতিক হাজী হেলাল আহমদ, রাসেল চৌধুরী, শিক্ষক কাজী সাবেরীন, কানিজ সুলতানা, নারী নেত্রী শরীফা আশ্রাফী, দিপ্তী সরকার, রাশিদা বেগম, তৃণা দে, সাংবাদিক অ্যাড. খলিল রহমান, মাহবুবুর রহমান পীর, বিন্দু তালুকদার, শামস শামীম, মাহমুদুর রহমান তারেক, এআর জুয়েল, দেওয়ান গিয়াস চৌধুরী, আমিনুল হক, শহীদ নুর আহমদ, যুবনেতা বিপ্রেশ রায় বাপ্পী, মারুফ মান্নান, সাকির আহমদ, মাইনুদ্দিন, সত্যজিৎ আচার্য্য, লিয়াকত মিয়া, অভিজিৎ রায়, ছাত্রনেতা রায়হান উদ্দিন, আজিজুর রহমান সৌরভ, আবু সালেহ, দিপাল ভট্টাচার্য, মলয় কর, সুকান্ত দত্ত, ব্যবসায়ী প্রভাংশু দাস, মাসুম মাহমুদ তালুকদার, ইন্তেখাব আলম পীর, সমাজকর্মী এমদাদুল হক, দিলোয়ার হোসেন, মো. তায়েফ, মো. আকমল প্রমুখ।