তাহিরপি প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় এনজিও সংস্থা ব্র্যাকের কিস্তির টাকার চাপ সহ্য করতে না পেরে ৪ সন্তানের জননী ফিরোজা বেগম (৩৫) নামের এক গৃহবধু আত্নহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তার বাড়ির পাশ্ববর্তী কয়লা সমিতির অফিসের টয়লেটের ভিতর গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্নত্যা করেছেন বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। গৃহবধু পাশ্বর্বতী বড়দল উত্তর ইউনিয়নের মানিগাঁও গ্রামের আবুল কাশেমের স্ত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (২৯,১০,১৮) দিবাগত মধ্য রাতে উপজেলার বাদাঘাট উত্তর ইউনিয়নের গাঘটিয়া বড়টেক নামক বাংলা কয়লা সমিতির অফিসে।
খবর পেয়ে মঙ্গলবার (৩০,১০,১৮) সকালে তাহিরপুর থানার এস আই মুহিত বাংলা কয়লা সমিতির অফিসের টয়লেটের বিতর গলার সাথে রশি দিয়ে ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় ওই গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও ইউনিয়ন সদস্য নোয়াজ আলী জানায়,ওই গৃহবধু ফিরোজার ৪ সন্তানসহ স্বামী-স্ত্রী মিলে ৬ জনের অভাব অনটনের সংসারে সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে বাদাঘাট ব্র্যাক অফিস থেকে ৩০ হাজার টাকা ঋন নেন। ব্র্যাকের ওই কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে না পারায় ব্র্যাক অফিসের লোকজন তাকে প্রতিনিয়তই চাপ সৃষ্টি করে। পরে গতকাল সোমবার ব্র্যাকের কিস্তির টাকা দেওয়ার কথা থাকলে ব্র্যাকের লোকজন সকাল থেকেই পিরোজার বাড়িতে অবস্থান নিলে তাদের ভয়ে ওই গৃহবধু ফিরোজা ওই দিন আর বাড়িতে আসে নি। পরে ফিরোজা ওই রাতেও বাড়িতে না আসলে তার আত্নীয় স্বজনরা তাকে অনেক খোজাঁখোঁজির করে পর দিন মঙ্গলবার সকালে তার বাড়ির র্পাশর্বতী যাদুকাটা নদীর তীর সংলগ্ন বড়টেক বাংলা কয়লা সমিতির অফিসের টয়লেটের বিতর গলায় রশি দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাহিরপুর থানা পুলিশে খবর দিলে সকালে এস আই মুহিত ঘটনার স্থলে এসে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করেন।
তাহিরপুর থানার ওসি নন্দন কান্তি ধর এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,লাশে প্রাথমিক সুরতহাল রির্পোট তৈরী করে ময়না তদর্ন্তের জন্য সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। তার আত্নহত্যার কারণ অনুসন্ধান চলছে বলে জানা গেছে।
তবে ব্রাকের সংশ্লিষ্টরা এ বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।