মুহাম্মদ হাবীবুল্লাহ হেলালী, বিশেষ প্রতিনিধি::
দোয়ারাবাজার উপজেলাকে বাল্যবিয়ে মুক্ত ঘোষণা অনুষ্টানে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘বাল্য বিবাহ হচ্ছে একটি সামাজিক ব্যাধি ও পশ্চাৎপদতা। এর কুফলে দেশ জাতি এবং সমাজ আজ পিছিয়ে রয়েছে। বর্তমান সরকারের দৃঢ় প্রত্যয় হচ্ছে দেশ কে উন্নতির দিকে নিয়ে যাওয়া। এ লক্ষ্যে দেশ ব্যাপি বাল্য বিবাহ মুক্ত ঘোষণার উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে আন্তরিক উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মনে রাখতে হবে দোয়ারাবাজার উপজেলা কে বাল্য বিবাহ মুক্ত প্রত্যাশিত ঘোষণাটি উৎসব মুখর পরিবেশে হয়েছে। এ আন্দোলন তৃণমুল পর্যায়ে অব্যাহত রাখতে সকলকে সচেষ্ট হতে হবে’।
দোয়ারাবাজার উপজেলাকে বাল্যবিবাহ মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে সোমবার দিনব্যাপি উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে র্যালি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। সকালে বর্ণাঢ্য এক শোভাযাত্রা শেষে উপজেলা সদরের মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মেহেরুল্লাহ এবং উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার সিফাত ই জামাল এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব ও সিলেট বিভাগীয় কমিশনার জামাল উদ্দিন আহমেদ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ, সিভিল সার্জন বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাকিম, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী বীরপ্রতিক।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, দোয়ারাবাজার থানার ওসি সেলিম নেওয়াজ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সফর আলী, সুরমা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান শাহজাহান মাস্টার, লক্ষ্মীপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমীরুল হক, দোয়ারাবাজার ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ একরামুল হক, বরই উড়ি বহুমুখি আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলনা সৈয়দ হোসেন কবির, ফরিদ উদ্দিন আহমদ মাস্টার, মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক, উপজেলা কাজী সমিতির সভাপতি কাজী মাওলানা মাহমুদুর রহমান আজাদ, এফ আই ভিডিবির প্রতিনিধি মিঠু রঞ্জন দাস, টেংরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নুর মোহাম্মদ, দোয়ারাবাজার ডিগ্রী কলেজের শিক্ষার্থী জান্নাতুল সরমী প্রমুখ।