বাবরুল হাসান বাবলু::
বাবলু,আর বাবুল…। জাফলং তামাবিলে যেমন মামার দোকান নাই তেমনি মায়াবী ঝর্না বা সংগ্রামপুঞ্জি ঝর্নাও নাই…।
কোন এক সময় নির্জন এ পাহাড়ি এলাকায় কোন এক ভদ্রলোকের একটি দোকান ছিল তখন সবাই মামা ডাকতো সে থেকে মামার দোকানের কাহিনী আর সংগ্রামপুঞ্জি বসতির পাশে ইন্ডিয়ার বর্ডার একটি ঝর্নাকে সংগ্রামপুঞ্জি বইলা চালাইয়া দেয়…।
…অনেক দিন ধইরা জাফলং যাব যাব এই করে আর যাওয়া হয় না,,,সিলেট একটু কাজে গিয়া ভাবলাম লকাল বাসে মফিজ হইয়া জানতে জানতে জাফলং যাইগা,,,,
উঠেই পরি লকাল বাসে সিলেট সোবহানী ঘাট থেকে জাফলং পর্যন্ত,,,৫৮ টাকা বাস ভাড়ায়।
পথে যেথে যেথে স্থানীয় মানুষদের কাছে জানতে জানতে জাফলং মামার দোকানে,,,,
প্রথমে মফিজের মত মামার দোকান খুজলাম পরে দু,একজন বললো এলাকাটাই মামার দোকান,,,সেহেতু মামার দোকান কেউ খুইজেন না,,,,
মামার দোকান থেকে বল্লার ঘাট যাওয়ার হাটছি, তেমন দুর নয় ৫ মিনিটের রাস্তা,,,বাইক ভাড়া ৬০ টাকা ভাবলাম উঠেই যাই পরে মনে হল হেটেই দেখি,,,হাটতে হাটতে বাবুল ভাইয়ে দেখা উনি ভাল মানুষ বললেন আমিও ঘাটে যাব চলেন,,,
উনি আমাকে রাস্তা ধরে না হাটিয়ে,বল্লার ঘাট না নিয়ে ফাড়ি পথে ৩ মিনিটের মধ্যে নিয়ে গেলেন জিরো পয়েন্ট ছোট মসজিদ,,,ওখানে গিয়ে বললেন আমার নৌকা আছে আপনি আমার সঙ্গে যাইতে পারেন,, আমি গাইড হিসেবে আপনার সাথে থাকবো নৌকা সহ আমাকে ৪শ টাকা দিতে হবে,,,,প্রথমে ভাবলাম বেশী কি না,,,আমি চা খাওয়ার অজুহাতে রেস্টুরেন্টে বসলাম দেখি,,,
আর একজন এসে বললো ভাই যাবেন কি না ৫শ টাকা দিলেই হবে,,,,
পরে কোন দিক না ভেবে বাবুল ভাইকে ডেকে নিয়ে পি ইং নদী পার হয়ে হাটলাম,,, কিছুক্ষন পর ৫ মিনিটের মধ্যে ভারতীয় সীমান্ত নো ম্যান্স ল্যান্ড,,,,সেখানে একটি সুন্দর ঝর্নার অবগাহন,,,যে ঝর্নাটির সবটুকু ভারত সীমান্তে,,,,সংগ্রাম পুঞ্জির কাছে হওয়ায় একে সংগ্রাম পুঞ্জি এবং কিছু লোক মায়াবী ঝর্না বলে থাকে,,,,সত্যিকির অর্থে ভারতের এ জায়গাটির নাম আমাদের জানা নাই,,,,, কিছুক্ষন ঝর্নায় থাকার পর পুঞ্জিতে চলে আসলাম,,,,বাবুল ভাই বললো সেখানে একটা গাড়ি চালক সিন্ডিকেট রয়েছে তারা কোন পর্যটক দেখলে বলবে ভাই গাড়ি ছাড়া এলাকায় ঘুরাঘুরি নিষেধ,,,, আপনড বলবেন না আমি ঘুরবো না,,,তো আমরা ঘরিও নাই গ্রামের পশ্চিম দিকে উঠে পান বাগান দেখে নাজিম গড় রিসোটের এখানে নদীতে নেমে পরি,,, সে সময় এক অটো চালক এগিয়ে আসে বাবুল ভাই বলে দেয় যাবে না,,, পরে পি ইং নদীর জুলন্ত সেতু দেখে ফেরার পালা,,,খুব অল্প সময়ে অনেকগুলো জায়গা দেখা,,শুধু রাজ বাড়ি থেকে গেল,,,,
যাত্রা পথে খরচ হল,,,,৪ শ আর ১২০,,,
,,,সিলেট থেকে জৈন্তাপুর পর্যন্ত রাস্তা ভাল পরে জাফলং পর্যন্ত প্রাইভেট গাড়িও লোকাল হয়ে যায় রাস্তা খারাপের জন্য,,,মামার দোকান এলাকায় নেমে বল্লার ঘাট নয় যাবেন জিরো পয়েন্ট ছোট মসজিদ,,,বল্লার ঘাট থেকে নৌকা নিলে অনেক বেশী টাকা লাগবে,,,,জিরো পয়েন্টে
বাবুল ভাইকে না পেলেও অন্য কাউকে পেয়ে যাবেনন,,,,
সহজ সরল মানুষ
যা যা গল্প করেছেন কোন এদিক সেদিক নেই,,
বলেছিলাম আমি ফেইসবুকে কোন একটি পোস্টে আপনার নাম্বার দিয়ে দেব কিন্তু তাতে তিনি রাজি নন,,,এখানে অন্য মাজিরাও আছে,,, ঘাট মালিকরা যদি জান্তে পারে আমাকে মন্দ বলবে,,,,আমার ভাগ্যে যা আছে তা হবে,,,,
আপনার জন্য শুভ কামনা বাবুল ভাই,
ঘুরতে ঘুরতে হয়তো আবার দেখা হবে,,,,,