স্টাফ রিপোর্টার::
এবারও ঈদে ছুটির দিন গুলোতে টাঙ্গুয়ার হাওরে বিপুল পর্যটকের আগমণ ঘটবে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত পর্যটকরা টাঙ্গুয়া ভ্রমণে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন। তাছাড়া স্থানীয় লোকজনও টাঙ্গুয়ার হাওরসহ জেলার অন্যান্য দর্শনীয় স্থান গুলোতে বেড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত কর্মজীবিরা ওই সুযোগে পরিবারের সঙ্গে মিলেমিশে ঈদ উদযাপন করে বেড়ানোর পরিকল্পনাও করেছেন। তাছাড়া জেলার অন্যান্য হাওরেও উদ্দেশ্যহীন নৌকা ভাসিয়ে আনন্দে মাতবেন বিভিন্ন স্থানের পর্যটকরা।
জানা গেছে প্রতি বছরই ঈদের ছুটিতে আন্তর্জাতিক রামসার সাইট খ্যাত ও দেশের অনন্য জলাভূমি টাঙ্গুয়ার হাওরে পর্যটকদের আনাগোনা থাকে। গত বছর সুরমা নদীতে আব্দুজ জহুর সেতু চালু হওয়ার পর দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত পর্যটকরা সহজেই টাঙ্গুয়ার হাওরে চলে আসছেন। তারা টাঙ্গুয়ার হাওরসহ যাদুকাটা নদী, বড়গোপটিলা (বারেকের টিলা), টেকেরঘাট খনিজ প্রকল্প ও প্রকল্পের লেকে ঘুরাঘুরি করেন। সপরিবারে আনন্দে মেতে ওঠেন। এর আগেই তারা বেড়ানোর জন্য নৌকাসহ আনুষঙ্গিকতা সেরে রাখেন। তাছাড়া স্থানীয়দের অনেকেই দোয়াবাজারের বাশতলা, নারায়নতলা, ডলুড়া, হাসাউড়াসহ জেলার অন্যান্য দর্শনীয় স্থান গুলো ঘুরাঘুরি করেন।
দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত পর্যটকরা আকাশ পাহাড় ও হাওরের মিতালি দেখে মুগ্ধ হন। হাওরের জলে পাহাড়ের নিলাভ ছায়া এক অন্যরকম আবহ তৈরি করে। তাছাড়া হাওরের সারি সারি হিজল কড়চের বাগও মুগ্ধ করে পর্যটকদের। বরাবরের মতো প্রকৃতির এমন সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে ছুটির দিন গুলোতে বিভিন্ন স্থান থেকে চলে আসেন দর্শনার্থীরা।
এদিকে সুনামগঞ্জ শহরের রিভারভিউ ও আব্দুজ জহুর সেতুতেও মানুষের ঢল নামে। অনেকে বাড়ির কাছের এই আরশি নগরে সপরিবারে আনন্দে মেতে ওঠেন। এই দুই স্পটে গত কয়েকটি ঈদে বিপুল লোক সমাগম দেখা গেছে।