স্টাফ রিপোর্টার::
‘স্কুলে বিদ্যা অর্জন/মঞ্চে গান/ মাঠে খেলাধুলা/ জমিতে ধান।’ সুনামগঞ্জে যোগদানের পরই এই অঞ্চলের পারিপার্শিক ও আর্তসামাজিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে কবির মতো ছন্দোবদ্ধে এই লাইন ক’টি বেধেছিলেন তিনি। পরবর্তীতে লিফলেট ও স্টিকার আকারেও এগুলো বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে যোগদানের পরই তিনি সুনামগঞ্জের শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে গতি এনে দেন। অফিসিয়াল ট্যুরেও রাস্তার ধারে বিদ্যালয় পেলে হঠাৎ ডুকে পড়েন। শুধু পরিদর্শনই নন রীতিমতো মাস্টারিও করেছেন! হাতে-কলমে শিখিয়েছেন শিক্ষার্তীদের। দিয়েছেন শিক্ষা সংক্রান্ত নানা টিপস। জেলার প্রত্যন্ত এলাকার একাধিক বিদ্যালয়ে এভাবে উপস্থিত হয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের চমকে দিয়েছেন তিনি। এতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরাও উজ্জীবিত হয়েছেন। এবার তাঁর এই শিক্ষায় অনন্য অবদানের জন্য সরকারিভাবে শ্রেষ্ট জেলা প্রশাসক মনোনীত হলেন। তিনি সুনামগঞ্জের সুযোগ্য জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে হাওর-ভাটির জেলা সুনামগঞ্জে প্রাথমিক শিক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য সিলেট বিভাগে শ্রেষ্ট জেলা প্রশাসক মনোনীত হয়েছেন তিনি। ‘জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০১৬’ প্রদান সংক্রান্ত বিভাগীয় বাছাই কমিটির সভায় গত ৩০ আগষ্ট তাকে সিলেট বিভাগের শ্রেষ্ট জেলা প্রশাসক মনোনীত করা হয়। ওইদিন বিভাগীয় কমিশনার, সিলেট এঁর সম্মেলন কক্ষে প্রাথমিক শিক্ষায় অবদানের জন্য সুনামগঞ্জ জেলার জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম কে সিলেট বিভাগের শ্রেষ্ঠ জেলা প্রশাসক হিসেবে মনোনিত করেন সংশ্লিষ্টরা।
উল্লেখ্য যোগদানের পরই জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম প্রাথমিক শিক্ষার অগ্রগতিতে সুনামগঞ্জে বিশেষ ভূমিকা পালন করছেন। প্রতিটি উপজেলায় শিক্ষার মানন্নোয়ন বিষয়ক সভা-সমাবেশসহ অভিভাবকদের সঙ্গেও তিনি নানা অনুষ্ঠানে কথা বলছেন। হাওরাঞ্চলের প্রাথমিক শিক্ষার মান্নোনয়নে তিনি নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।