অনলাইন ডেস্ক::
কোনো ব্যক্তিকে নয়, মার্কা দেখে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে এবং আওয়ামী লীগকে আবারো বিজয়ী করতে নৌকা মার্কায় ভোট দিন।
শনিবার বিকেলে বরগুনার তালতলীতে ছাতনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা চাই, আমাদের দেশের মানুষ সুখী সমৃদ্ধশালী হয়ে জীবন যাপন করবে। বিশ্বসভায় মাথা উঁচু করে চলবে। মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করে আমরা যে সম্মান পেয়েছিলাম। ৭৫’এ জাতির পিতাকে হত্যা করে সে সম্মান হারিয়ে গিয়েছিল। আজকে আবার আমরা দেশের উন্নয়নের মধ্য দিয়ে আবার বিশ্ব দরবারে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে সম্মান আমরা ফিরে পেয়েছি। সেই সম্মান ধরে রাখতে হবে। তাই আরেকটি বার আওয়ামী লীগকে আগামীতেও নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আমাদেরকে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দেন।’
বরগুনাসহ দেশের উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপগুলো তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমরা দুই বোন বিদেশে ছিলাম বলে বেঁচে গিয়েছিলাম। স্বজন হারানোর বেদনা নিয়ে দীর্ঘ ছয় বছর বিদেশে ছিলাম। আওয়ামী লীগ আমাকে সভাপতি নির্বাচিত করে। অনেক প্রতিকূলতার অবস্থার মধ্য দিয়ে দেশে ফিরে আসি। তারপর সারাদেশ ঘুরেছি। দেখেছি আমার দেশের মানুষের অবস্থা। পেটে খাবার নাই। পরনে ছিন্ন কাপড়। বিদেশ থেকে পুরনো কাপড় এনে কাপড় পড়তে দেয়। কারো ঘর নেই। ঘর দিয়ে চাল দিয়ে পানি পড়ে। এমন দুরবস্থার মধ্যে দিয়ে দেশে দেখেছি।’
‘‘আমার বাবা এদেশ স্বাধীন করেছেন। এই দেশের মানুষ ভাল থাকবে সুন্দও থাকবে। সেটা আমার বাবার জীবনের আকাঙ্ক্ষা। সেই জন্য আমি আমার নিজেকে উৎসর্গ করেছি। বাংলার মানুষের জন্য। বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা। বাংলার মানুষকে সুখী সমৃদ্ধ জীবন দেওয়া। বাংলার মানুষকে উন্নত জীবন দেওয়া এটাই আমার লক্ষ্য। বারবার মৃত্যুও মুখোমুখি হয়েছি।’’
২১শে আগস্ট ওই খালেদা জিয়া এবং তার ছেলে তারেক জিয়া গ্রেনেড হামলা করে তাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে আমি বেঁচে গিয়েছি। আইভী রহমানসহ আমাদের ২২জন নেতাকর্মী হারিয়েছি এবং এটা একবার নয় কয়েকবার। ওরা কি করেছে, বাংলাদেশ জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসের দেশ করেছে। পাঁচ পাঁচ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে। বাংলাদেশের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার পথ বন্ধ করে দিয়েছিল। বিদ্যুৎ উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছিল। দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছে।’