স্টাফ রিপোর্টার:
সাংবাদিক সম্মেলন করে আওয়ামী লীগ গতকাল ২৩০ আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে। সারাদেশের মনোনয়ন প্রত্যাশীসহ মনোনয়নপ্রাপ্তরা সবাই ছিলেন রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষায়। সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নানের নেতৃত্বে জেলার আওয়ামী লীগের চার সাংসদ ছিলেন নির্ভার। তারা গত পাচ বছর ছিলেন একসঙ্গে। পরষ্পরের সুখদুখে পাশে দাড়িয়েছেন। গতকালও দলীয় মনোনয়ন আনতে একসঙ্গে গিয়েছিলেন সবাই। মনোনয়ন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন তারা। তাদের হাসিমাখা বিজয় চিহ্ন দেখানো আঙ্গুল উত্থিত করা দৃশ্যসম্বলিত ছবিটি ভাইরাল হয়েছে যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে। এই ছবিটিই বলে দেয় এমএ মান্নানের নেতৃত্বে কতটা আশ্বস্থ ছিলেন চার সাংসদ। এই ছবিটিকে অনেক নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধ বিজয়ের প্রাথমিক লক্ষণ বলে মনে করেছেন।
গতকাল রবিবার দলীয় মনোনয়ন ঘোষণার পর সুনামগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী এমএ মান্নান, সুনামগঞ্জ-৫ আসনের প্রার্থী মুহিবুর রহমান মানিক, সুনামগঞ্জ-২ আসনের প্রার্থী ড. জয়া সেনগুপ্তা ও সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন একসঙ্গে গিয়েছিলেন দলের বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ প্রধান কার্যালয়ে। নেতৃত্বে ছিলেন এমএ মান্নান। মনোনয়ন প্রাপ্তির পত্র হাতে নিয়ে চার সাংসদ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। ভি চিহ্ন্ দেখিয়ে সেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন সবাই।
সেখান থেকে দলীয় মনোনয়নের চিঠি পেয়ে এমএ মান্নান তিন সাংসদকে নিয়ে তার বেইলি রোডস্থ সরকারি বাসভবনে চলে যান। সেখানে দুপুরের খাবার খান একসঙ্গে। পরে চলে আসেন অন্যরা। আগামী ২৭ নভেম্বর এমএ মান্নানসহ সবাই নির্বাচনী এলাকায় চলে আসবেন। তাদেরকে বরণ করতে প্রস্তুত নির্বাচনী এলাকার আওয়ামী লীগের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
এমএ মান্নান বলেন, আমিসহ চার সাংসদ আমরা গত ৫ বছর একসঙ্গে ছিলাম। সুখে দুখে পরষ্পরের পাশে থেকেছি। সরকারের সমন্বিত উন্নয়ন, দলকে সংগঠিত করা এবং নেতাকর্মীদের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোসহ সব কাজ আমরা একসঙ্গে করেছি। গতকালও আমরা একসঙ্গে মনোনয়ন আনতে গিয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের প্রতি যে আস্থা রেখেছেন আমরা সেটা পূরণ করব ইনশাল্লাহ। তিনি নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকার পক্ষে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।