স্টাফ রিপোর্টার::
আন্তর্জাতিক রামসার সাইট ও জীববৈচত্র্যের অনন্য জলাভূমি টাঙ্গুয়ার হাওরকে কেন্দ্র করে পর্যটন অবকাঠামো গড়ে তোলার দাবিতে আগামী কাল শুক্রবার থেকে হাওরে দু’দিনব্যাপী জোছনা উৎসব শুরু হবে। তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রায় অর্ধ শতাধিক নৌকায় দুইদিন টাঙ্গুয়ার হাওরে অবস্থান করবেন দেশ-বিদেশের হাজারো পর্যটক। হাওরের ঐতিহ্যবাহী রৌয়া বিলে ভাসমান মঞ্চে জোছনার আলোয় সাংস্কৃতিক উৎসব হবে।
আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে টাঙ্গুয়ার হাওরে উদ্দেশ্যে পর্যটকদের নিয়ে রওয়ানা দিবে অর্ধশতাধিক নৌকা। সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত হাওরের হিজল-কড়চের বাগ, মেঘালয় সীমান্ত ঘেষা হাওরের তীরে ঘুরে বেড়ানো শেষে রাতে জোছনা উদযাপন করা হবে। হাওরের মধ্যবর্তী রৌয়া বিলে ভলগেট নৌকার ছাদকে মঞ্চে রূপ দিয়ে রাতব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। স্থানীয় শিল্পীরা হাওরাঞ্চলের বাউল মহাজনদের গান পরিবেশন করবেন। পরদিন সকালে টাঙ্গুয়ার হাওর থেকে সীমান্ত নদী যাদুকাটা ঘুরে ঘনসবুজের খাড়া ও ঢালু বড়গোপটিলায় রাত্রি যাপন করা হবে। এখানেও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। পাপাশি অনুষ্ঠানের আগে হাওরের সমস্যা, সম্ভাবনা, জীববৈচিত্র তুলে ধরে পর্যটন অবকঠামো নির্মাণের দাবি জানাবেন আয়োজকরা।
১৬ সেপ্টেম্বর টাঙ্গুয়ার হাওরে ভাসমান রাত্রি কাটানোর পর ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে রূপের নদী যাদুকাটা ও ঘনসবুজের টিলা বড়গোপ টিলায় কাটানো হবে। টিলায় হাজার বছর ধরে বসবাসকারী আদিবাসী জনগোষ্ঠীর শিল্পীরা তাদের ঐতিহ্যবাহী নানা পর্ব দর্শনার্থীদের সামনে তোলে ধরবেন। উৎসবকে ঘিরে পুরো উপজেলায় উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল বলেন, টাঙ্গুয়ার হাওরে বিশাল নৌবহরে রাতে জোছনা উৎসব উদযাপনের পাশাপাশি দিনভর বৈচিত্র্যময় টাঙ্গুয়ার হাওরের সুন্দর স্পট গুলো ও লুকিয়ে থাকা রূপবৈচিত্র্যের সঙ্গে পরিচিত হবেন ভ্রমণার্থীরা। টাঙ্গুয়ার হাওরপাড়ে অবস্থিত হাওররাজ্যের রাজমহল খ্যাত জমিদার বাড়িগুলোও দেখতে পারবেন পর্যটকরা। নৌকায় অবস্থান করেই মেঘালয়ের নীল গহীনের সৌন্দর্য্যও উপভোগ করা যাবে। টাঙ্গুয়ার হাওর পাড়ের পাহাড়ঘেঁষা টেকেরঘাট খনিজ প্রকল্পও দেখতে পারবেন পর্যটকরা। মেঘালয় পাহাড়ের নিচে অবস্থিত খনিজ প্রকল্পের স্বচ্চতোয়া জলের লেকটিতে পাহাড় ও আকাশের নীল ছায়া প্রতিবিম্বিত হয়। দীঘল হিজল-করচের বাগের সৌন্দর্য্যওে মাততে পারবেন পর্যটকরা। দুদিনের জোছনা উৎসবে ব্যাপক সাড়া পড়েছে বলে তিনি জানান।