জগন্নাথপুর প্রতিনিধি::
অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ন নির্বাচনের লক্ষ্যে সুনামগঞ্জ -৩ (জগন্নাথপুর ও দক্ষিন সুনামগঞ্জ) আসনের তিনজন প্রার্থী জনতার মুখোমুখি হয়েছেন। শুক্রবার বিকেল ৫টায় সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা সদরের আব্দুস সামাদ আজাদ অডিটরিয়াম প্রাঙ্গনে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) আয়োজিত জনগনের মুখোমুখি অনুষ্ঠানে তিন প্রার্থী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠ ও শাম্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে অঙ্গীকার করেছেন। প্রার্থীরা হলেন সুনামগঞ্জ -৩ আসনে এবার ছয়জন প্রার্থী অংশ নিয়েছেন তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ আবদুল মান্নান ( নৌকা) ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী জমিয়ত উলামায়ে ইসলাম কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী (ধানের শীষ) জাকের পাটির প্রার্থী শাহাজাহান চৌধুরী (গোলাপফুল) জনগনের মুখোমুখি অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
সুনামগঞ্জ জেলা সুজনের সভাপতি এডভোকেট হোসেন তৌফিক চৌধুরী এর সভাপতিত্বে ও সুজনের সিলেট বিভাগের সমন্নয়ক আব্দুল আলীম এর পরিচালনায় এতে স্বাগত বক্তব্য দেন সুজন সুনামগঞ্জ জেলার সাধারন সম্পাদক আলী হায়দার, সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুল মান্নান, ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী ও জাকেরপার্টির প্রার্থী শাহাজাহান চৌধুরী।
তিন প্রার্থী ৫ মিনিট করে দেয়া বক্তব্যে নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নে নানা প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন।
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুল মান্নান গত ১০ বছর নির্বাচনী এলাকার সাংসদ হিসেবে উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে বলেন, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষার পাশাপাশি আগামীতে নির্বাচিত হলে নির্বাচনী এলাকার সবকটি কলেজকে ডিগ্রী কলেজে রূপান্তর করা হবে। জগন্নাথপুর ডিগ্রী কলেজকে সরকারী করন করেছি আগামীতে অনার্স মাষ্টার্স চালু করা হবে।
ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী বলেন,আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সামাদ আজাদের মৃত্যুর পর ২০০৫ সালের উপ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে নির্বাচনী এলাকায় অনেক উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করেছি।আগামীতে নির্বাচিত হলে জগন্নাথপুর সিলেট ও জগন্নাথপুর সুনামগঞ্জ সড়কে সম্প্রসারনসহ নানা উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করব।
জাকেরপার্টির প্রার্থী শাহাজাহান চৌধুরী বলেন, নির্বাচিত হলে ঘুষ, দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়ে তুলব। নির্বাচিত না হলে নির্বাচিত প্রার্থী কে সহযোগীতা করব।
অনুষ্ঠানে প্রার্থীদের কে ভোটাররা তিনটি করে প্রশ্ন করেন।
তাঁর মধ্যে জগন্নাথপুর পৌর এলাকার লুদরপুর গ্রামের বাসিন্দা আবদুল তাহিদ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুল মান্নান কে প্রশ্ন করেন নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য হিসেবে দুই উপজেলার উন্নয়নের ভারসাম্য কতটুকু রাখতে পেরেছেন? জবাবে তিনি বলেন, আমি উন্নয়নের বিষয়ে দুই উপজেলার মধ্যে কোন বৈষম্য করিনি। জগন্নাথপুরের রানীগঞ্জ সেতুর ব্যয়ের অর্থ দিয়ে দক্ষিন সুনামগঞ্জ সব উন্নয়ন ব্যয়ের পরিমাপ করা যাবে।
পৌর এলাকার হবিবপুর গ্রামের বাসিন্দা শাহ রুহেল ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী শাহীনুর পাশা চৌধুরী কে প্রশ্ন করেন-অভিযোগ রয়েছে,রোহিঙ্গাদের নামে টাকা তুলে আপনি রোহিঙ্গাদের মধ্যে বিতরন না করে আত্মসাৎ করেছেন জবাবে তিনি বলেন,ভোটের মাঠে আমার জনপ্রিয়তা নষ্ট করতে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। দুর্নীতি প্রমানিত হলে রাজনীতি ছেড়ে দিব।
সর্বশেষ তিন প্রার্থী একে অপরের হাত উচিয়ে ধরে সুষ্ঠ নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচনী নীতিমালা মেনে চলা এবং নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে ১৫ টি বিষয়ে অঙ্গীকার করেন।
অনুষ্ঠানে সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আমার ভোট আমি দিব,দেখে শুনে বুঝে দিব। শ্লোগান ধারন করেই প্রভাবমুক্ত হয়ে ও কালো টাকার বিরুদ্ধে ভোট দিতে ভোটার জাছ থেকে অঙ্গীকার নেন।