ধর্মপাশা প্রতিনিধি::
পূর্ব শত্রæতার জের ও নির্বাচনী আলোচনাকে কেন্দ্র করে বিএনপি কর্মীর আঘাতে ধর্মপাশায় সাইফুল ইসলাম (৪০) নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নের মহিষপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সাইফুল ইসলাম ওই গ্রামের সোনার মিয়া তালুকদারে ছেলে। ওইদিন দুপুরে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একই গ্রামের জায়েদ আলীর ছেলে মিষ্টার মিয়া (৩৫) ও মিষ্টার মিয়ার স্ত্রী রোজিনাকে আটক করেছে ধর্মপাশা থানা পুলিশ।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নের মহিষপুর গ্রামের সাইফুল ইসলাম গত কয়েকদিন আগে বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগদান করে। মহিষপুর গ্রামে তার একটি চায়ের দোকান রয়েছে। একই গ্রামের মিষ্টার মিয়ার সাথে সাইফুল ইসলামের পারিবারিক কলহসহ বিভিন্ন শত্রæতার জের রয়েছে। বিএনপি সমর্থনকারী মিষ্টার মিয়া শনিবার সকাল ৮টার দিকে সাইফুল ইসলামের চায়ের দোকানে আসে। এ সময় সাইফুল ইসলাম ও মিষ্টার মিয়া নির্বাচনী আলোচনাকে কেন্দ্র করে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি মুহুর্তেই সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ সময় মিষ্টার মিয়ার আঘাতে সাইফুল ইসলাম গুরুতর আহত হয়। আহতাবস্থায় সাইফুল ইসলামকে জয়শ্রী বাজারে নিয়ে আসার পথে তার মৃত্যু হয়।
তবে আটক মিষ্টার মিয়ার দাবি নির্বাচনী আলোচনাকে কেন্দ্র সাইফুলের দোকানে এ ঘটনা ঘটেনি। পারিবারিক কলহের জের ধরে তার বাড়িতে সাইফুলের সাথে বাকবিতন্ডা ও ঝগড়া হয়েছে এবং সাইফুল দোকানে যাওয়ার পরে তার (সাইফুল) স্ট্রোক হয়েছে। আর এ কারণেই সাইফুলের মৃত্যু হয়েছে।
জয়শ্রী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সঞ্জয় রায় চৌধুরী বলেন, ‘সাইফুল ইসলাম আওয়ামী লীগের সমর্থনকারি ও অভিযুক্ত মিষ্টার মিয়া বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত।’
ধর্মপাশা থানার ওসি মো. এজাজুল ইসলাম বলেন,‘দা’য়ের হাতলের আঘাতে সাইফুল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মিষ্টার মিয়া ও তার স্ত্রী রোজিনাকে আটক করা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।’