স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জে এবার সর্বজনীন শারদীয় দুর্গোৎসবকে বর্ণাঢ্যভাবে উদযাপনের উদ্যোগ নিয়েছেন সনাতন ধর্মাবম্বরা। এই উৎসবকে সামনে রেখে সুনামগঞ্জের প্রতিটি পূজামন্ডপে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। এবার জেলায় ৩৫০টি ম-পে পূজা অনুষ্টিত হবে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরে মহালয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হবে শারদীয় দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা। মূলপর্ব শুরু হবে ৭ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মাধ্যমে। ১১ অক্টোবর শুভবিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে শেষ হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় এ উৎসব।
সরেজমিন দেখা গেছে শেষ মুহূর্তে মন্ডপে কেউ কাদা-মাটির তৈরিতে প্রতিমার শরীরে শৈল্পিক কারুকাজে ব্যস্ত শিল্পিরা। আবার কেউ রং তুলির আঁচড়ে প্রতিমাকে মনের মাধুরী মিশিয়ে ফুটিয়ে তোলছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এবার জেলায় ৩৫০টি পূজামন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে সুনামগঞ্জ পৌরসভায় ২২টি, পৌরসভার বাইরে সদর উপজেলায় ১৬টিসহ জেলায় ৩৫০টি পূজামন্ডপ তৈরি হবে। গতবার জেলায় পূজামন্ডপের সংখ্যা ছিল ৩২৫টি।
কারিগরদের নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় তৈরি হচ্ছে দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গা এবং তার সঙ্গীয় লক্ষ্মী, সরস্বতী, গণেশ, কার্তিক ও অনিষ্টকারী অসুরসহ বিভিন্ন দেব-দেবীর মূর্তি।
বাহ্যিক ও আত্মিক অসুর নিধন করে শুভশক্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রতিবছর পালিত হয় শারদীয় দুর্গোৎসব। দুর্গাপূজা সামনে রেখে বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক বিমল বণিক বলেন, দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে কমিটির লোকবল বাড়ানো হবে। গতবারের চেয়ে এ বছর পূজামন্ডপের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ বলেন, দুর্গাপূজাকে শান্তিপূর্ণ, সার্বজনীন ও উৎসবমুখর করতে বিপুলসংখ্যক পুলিশ, আনসার, র্যাব মোতায়েন থাকবে। প্রতিবছরের মতো এবছরও সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।