স্টাফ রিপোর্টার::
অস্ট্রেলিয়া গ্রিফিথ ইউনিভার্সিটির সিনিয়র লেকচারারার ও ক্যানসার শণাক্তকরণ যন্ত্রের উদ্ভাবক ড. মুহম্মদ জহিরুল আলম সিদ্দিকী শামীম বলেছেন, যে মানুষ দেশকে ভালোবাসেনা সে অন্যায় কাজ করবেই। তাই আমাদেরকে মানবিক মানুষ হতে হবে। শিশুদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তোমরা পড়াশোনা করে ভীতি দূর করো। ভয় পেয়োনা। প্রচ- সাহসী হও। পড়াশোনা করে ভেতরে শক্তি সঞ্চয় করে সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। শিশুদের মানবিক মানুষ হিসেবে গড়ে তোলতে শিক্ষক ও অবিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
রবিবার রাতে সুনামগঞ্জ শহিদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরিতে অনুষ্ঠিত সান্ধ্য বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সুধীজন, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সাংবাদিক, আইনজীবী, সংস্কৃতিকর্মীসহ বিভিন্ন পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
শহিদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সালেহ আহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সান্ধ্য আড্ডায় বিজ্ঞানী ড. জহিরুল আলম সিদ্দিকী শামীম তার ক্যনসার গবেষণাসহ নানা বিষয়ে কথা বলেন। তিনি উপস্থিত সুধীজনদের নানা বিষয়ে করা প্রশ্নের উত্তর দেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা বজলুল মজিদ চৌধুরী খসরু, মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান, কবি ইকবাল কাগজী, অবসরপ্রাপ্ত সহকারি অধ্যাপক ও বিজ্ঞানী জহিরুল ইসলামের শিক্ষক চিত্তরঞ্জন তালুকদার, গবেষক সজল কান্তি সরকার, হিরন্ময় রায়, অধ্যক্ষ আব্দুল মতিন, জোতিয়াল গোস্বামী, প্রভাষক মশিউর রহমান, এডভোকেট শুকুর আলী, সাংবাদিক শামস শামীম, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌসী সিদ্দিকা প্রমুখ।
ড. মুহম্মদ জহিরুল আলম সিদ্দিকী শামীম বলেন, ২০০৭ সাল থেকে ক্যনসার শণাক্তকরণ যন্ত্র নিয়ে কাজ করছি। চেষ্টা করছি পৃথিবীর বড় এই সমস্যা নিয়ে কিছু করা। বিষয়টি জানার পর ২০১১ সালে অস্ট্রেলিয়ায় এ নিয়ে আলোচনা হয়। পরে দেশের মিডিয়াও এ নিয়ে কথা বলতে চাইলে আগ্রহ দেখাইনি। তাদের বলেছি ক্যানসার নয় দুর্গম হাওরের একজন সন্তানের সংগ্রাম নিয়ে কিছু লিখুন। আমি তাদের লেছি আামি সুনাগঞ্জর হাওরের সন্তান। আমার প্রাইমারি-হাইস্কুল আহামরি ছিলনা। কিন্তু সংগ্রাম করার সাহস ছিল। এসব যদি লিখতে পারেন লিখেন। ২০১৪ সালে প্রথম আলোর অনুরোধে লিখেছিলাম ‘আমি জয়শ্রী গ্রামের সন্তান’। আমি সবসময়ই নিজের শিকড়কে ধারণ করি।
তিনি শিশুদের উদ্দেশ্যে বলেন, এখনকার শিশুরা জাতীয় সঙ্গীত শোনলে নির্বিকার থাকে। এখনো জাতীয় সঙ্গীত গাইলে আমার বুকটা চিনচিন করে। চোখের কোণায় জল জমে। দেশপ্রেমই আমার অহঙ্কার।