স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জে ‘গৌরবের মুক্তিযুদ্ধ’র উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ, সমাজসেবা, শিক্ষা, ক্রিড়া, রাজনীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ছয় গুণী ব্যক্তিত্বকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার রাতে গুণীজন ও তাদের স্বজনদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।
সম্মাননা প্রাপ্তরা হলেন আছকির মিয়া, আব্দুর রহিম, দেওয়ান মহসিন রাজা চৌধুরী, নাজির আহমদ চৌধুরী, উজির মিয়া ও মনেছা বেগমকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।
গৌরবের মুক্তিযুদ্ধ ট্রাস্টের ট্রাস্টি সদস্য ইয়াকুব বখত বহলুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, বাশতলা সাবসেক্টরের অধিনায়ক লে.ক. এ.এস হেলাল উদ্দিন পিএসসি, সহ অধিনায়ক লে.ক. আব্দুর রউফ বীরবিক্রম, মুক্তিযুদ্ধ একাডেমি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. আবুল আজাদ, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ, পুলিশ সুপার মো. বরকতুল্লাহ খান, মুক্তিযোদ্ধা ও গৌরবের মুক্তিযুদ্ধ ট্রাস্টির সদস্য এডভোকেট বজলুল মজিদ চৌধুরী খসরু, পৌর মেয়র নাদের বখত, এডভোকেট সালেহ আহমদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, অনেক কবি সাহিত্যিক কবিতা উপন্যাস গল্প গান লিখছেন মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে। কিন্তু অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রকৃত কাজ করছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। আমাদের জাতির শ্রেষ্ট সন্তানদের সম্মান ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় তিনি আপসহীন কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, আমরা অনেকেই প্রতিনিয়ত অন্ধকার শক্তি, ঔপনিবেশিক শক্তির সঙ্গে আপস করে যাচ্ছি। কিন্তু একুশ শতকের প্রকৃত বাঙালি হতে হলে জীবনের প্রতিটি কেত্রে এই আপসকামিতা থেকে বেরিয়ে আসার শিক্ষা আমরা মুক্তিযুদ্ধ থেকেই পাই। আমাদের গৌরবের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধরে রেখে এগিয়ে যেতে হবে। মন্ত্রী ছাতক যুদ্ধে শহিদ মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফের স্মরণে বুরকিগ্রামে শহিদ স্মৃতিসৌধ নির্মাণের ঘোষণা দেন।
অনুষ্ঠানে সাতজন মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্যকে সেলাই মেশিন দেওয়া হয়। এছাড়া সম্মাননাপ্রাপ্ত সবাইকে ২০ হাজার টাকা করে অর্থসহায়তা প্রদান করা হয়।