হাওর ডেস্ক ::
শিশুদের দিয়ে জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তি করানোর অপরাধে সিলেট নগরীর দাড়িয়াপাড়া এলাকা থেকে রোকন উদ্দিন ভূঁইয়া (৪০) নামে পুলিশের এক উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও তার ভুয়া স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে (র্যাব)। জোরপূর্বক ইয়াবা সেবনের মাধ্যমে শিশুদের পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করাতেন ওই এসআই ও তার কথিত স্ত্রী। রবিবার দুপুরে সিলেট মহানগর বিচারিক হাকিম আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়। শনিবার রাতে সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাঈন উদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে র্যাব-৯-এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে নগরীর দাড়িয়াপাড়ার মেঘনা এ-২৬/১ ফ্ল্যাটের নিচতলা থেকে তাদের গ্রেফতার করে। এ বিষয়ে মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) জেদান আল মুসা বলেন, রবিবার সকালে গ্রেফতার দুইজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এবং জোরপূর্বক শিশুদের পতিতাবৃত্তির অভিযোগে র্যাব বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করে থানায় হস্তান্তর করে। দুপুরে সিলেট মহানগর বিচারিক হাকিম আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। র্যাব-৯-এর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেফতার দুইজনের বাসা থেকে ৬০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও তাদের কাছে বন্দি থাকা দুই শিশুকে উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সিলেট নগরের মুন্সিপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল রশিদের ছেলে মো. রোকন উদ্দিন ভূঁইয়া (৪০) ও নেত্রকোণা জেলার কালিয়াজুড়ি থানার আটগাঁও গ্রামের মৃত মফিজুল মিয়ার মেয়প রিমা বেগম (৩৫)। এর মধ্যে গ্রেফতার মো. রোকন উদ্দিন ভূঁইয়া পুলিশের এসআই, বর্তমানে তিনি ৭-আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, লালাবাজার সিলেটে কর্মরত আছেন। তার সঙ্গে জড়িত রিমা বেগম অবৈধভাবে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বর্তমানে দাড়িয়াপাড়া মেঘনা এ-২৬/১ ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। র্যাব-৯-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, গ্রেফতার দুইজন অবৈধভাবে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে দাড়িয়াপাড়া এলাকায় বসবাস করতেন। সিলেটের বিভিন্ন স্থান থেকে গরিব, অসহায় ও সুন্দরী তরুণী ও শিশুদের ভালো কাজের প্রলোভন দেখিয়ে ইয়াবা সেবনের মাধ্যমে পতিতাবৃত্তি করতে বাধ্য করার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য ২০১৩ সালে তিনি সুনামগঞ্জ সদর থানায় কর্মরত ছিলেন। এসময় তার বিরুদ্ধেও নানা অভিযোগ ছিল।