দিরাই প্রতিনিধি::
দিরাই সরকারি কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের ছাত্র গৌতম কুমার দাসের এলোপাতারি ছুরিকাঘাতে একই কলেজের সহপাঠি অপর ৪ ছাত্র গুরুতর আহত হয়েছে। তারা হলো, দিপু তালুকদার, শিমুল তালুকদার, কণিক তালুকদার শচীন, শ্রাবণ দেবনাথ। আহতরা সকলেই দিরাই পৌরসদরের মজলিশপুর গ্রামের বাসিন্দা ও দিরাই সরকারি কলেজে অধ্যয়ররত। হামলাকারী গৌতম কুমার দাস উপজেলার সরমঙ্গল ইউনিয়নের চিতলিয়া গ্রামের প্রবীর কুমার দাসের পুত্র। সে বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে আছে। সোমবার দুপুর ১২ ঘটিকার দিকে কলেজ ক্যাম্পাস সংলগ্ন সরকারি রাস্তায় এই ঘটনা ঘটে। কলেজের শিক্ষার্থী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার কলেজ মাঠে বাৎসরিক ক্রীড়ানুষ্ঠান চলাকালে গৌতম দাসের সাথে একই শ্রেণিতে পড়ুয়া দিপু তালুকদার ও তার বন্ধুদের বাকবিতন্ডা হয়। এরই জের ধরে কলেজের সামনের রাস্তায় তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে গৌতম দাসের এলোপাতারী ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয় তারই সহপাঠি ৪ ছাত্র। ঘটনাস্থলের নিকটে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের অতিথি শিক্ষার্থী ও শিক্ষক দ্রুত ঘটনাস্থানে ছুটে গিয়ে হামলাকারী গৌতম কে আটক করে দিরাই থানা পুলিশে সোপর্দ করেন। কেউ কেউ আহতদের উদ্ধার করে দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। আহতদের মধ্যে দিপু তালুকদার ও কনিক তালুকদারের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় দিরাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তফা কামাল জানান, হামলাকারী গৌতম দাস পুলিশ হেফাজতে আছে। তার বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।