হাওর ডেস্ক::
৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে বিজয়ী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কোনো জনপ্রতিনিধি এখনও শপথ নেননি। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে নির্বাচিত ৮ প্রতিনিধির শপথ না নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল।
সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের কেউ আজও শপথ নেননি। ৯০ দিনের মধ্যে শপথ না নিলে তাদের সংসদ সদস্যপদ খারিজ হয়ে যাবে। ওইসব আসনে উপ-নির্বাচন দিতে হবে।
তবে সেই সিদ্ধান্ত থেকে থেকে সরে এসেছেন ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে জয়ী দুই জনপ্রতিনিধি। তারা হলেন জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ও গণফোরাম নেতা মোকাব্বির খান। তারা দু’জনেই শপথ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শপথ নেয়ার কারণও জানিয়েছেন তারা।
ঢাকসু সাবেক ভিপি ও আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা সুলতান মনসুর মৌলভীবাজার-২ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। আর সিলেট-২ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন গণফোরামের মোকাব্বির খান।
সুলতান মনসুর ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট করেছেন। আর সিলেট-২ আসনে ধানের শীষের প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যাওয়ায় গণফোরাম নেতা মোকাব্বির ঐক্যফ্রন্টের সমর্থন নিয়ে উদীয়মান সূর্য প্রতীকে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছেন।
ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী সুলতান মনসুর শপথ নেয়ার তথ্য তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জনগণের মতামত মূল্য দিতে শপথ নিচ্ছেন জানিয়ে সুলতান মনসুর বলেন, আমি বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ হয়ে বিশ্রামে আছি। এই সময়টাতে আমার নির্বাচনী এলাকা জনগণ, যারা শত ঝুঁকি নিয়েও আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন তাদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। সারাদেশের অনেক নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষের মতও আমি নিয়েছি। আমি একজন মানুষও পাইনি যিনি আমার শপথের বিপক্ষে। সবাই একবাক্যে বলেছেন আমার নির্বাচনী এলাকার জনরায়কে মূল্য দিয়ে শপথ নিতে। যেহেতু জনগণের জন্য রাজনীতি করি সেহেতু জনগণের মতামতকে মূল্য দিতে হবে।
‘আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষের যেমন আমার প্রতি প্রত্যাশা রয়েছে, তেমনি আমারও দায়বদ্ধতা রয়েছে তাদের মতের প্রতি’-যোগ করেন সুলতান মনসুর।
সিলেট-২ আসনে নির্বাচিত মোকাব্বির খানও শপথ নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। বলেন, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের শপথ নেয়ার বিষয়ে আমার নেতা ড. কামাল হোসেন সবসময় ইতিবাচক। আমরা দু’জনই (সুলতান মনসুর ও মোকাব্বির) শপথ নেব।