অনলাইন ডেক্স::
সৌদি আরবের মসজিদে নববীর পার্কিং এলাকায় বোমা হামলার ঘটনায় ১৯ জনকে আটক করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। এদের মধ্যে ১২ জনই পাকিস্তানের নাগরিক।
সৌদি অভ্যন্তরীণ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের বরাত দিয়ে বিবিসি এই তথ্য জানিয়েছে। তবে আটককৃতদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেননি তিনি।
গেল সোমবার সন্ধ্যায় মদিনার এ মসজিদে আত্মঘাতী হামলায় চার নিরাপত্তারক্ষী নিহত হন। বোমায় ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় হামলাকারীর দেহ।
মুখপাত্র ওই ঘটনায় আত্মঘাতী হামলাকারীর পরিচয়ও প্রকাশ করেন। তিনি জানান, হামলাকারী ২৬ বছর বয়সী সৌদি নাগরিক নায়ের মুসলিম হামাদের বিরুদ্ধে ‘মাদক সংশ্লিষ্টতার’ অভিযোগ ছিল।
এদিন সৌদি আরবের আরেক শহর কাতিফে হামলাকারীদের নামও প্রকাশ করা হয়। এরা হলেন- আবদুলরহমান আল-ওমর (২৩), ইব্রাহিম আল-ওমর (২০) ও আবদুলকরিম আল-হুসনি (২০)।
এদের কেউই সৌদি আরবের নাগরিক নয় বলে জানান ওই মুখপাত্র।
সোমবার মদিনায় হামলার কাছাকাছি সময়ে কাতিফের একটি শিয়া মসজিদেও আত্মঘাতী হামলা হয়। এর কয়েক ঘণ্টা আগে সৌদি আরবের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর জেদ্দায় যুক্তরাষ্ট্র কনস্যুলেটের কাছে বিস্ফোরণে এক আত্মঘাতী নিহত এবং দুজন আহত হন।
এসব হামলার জন্য জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটকে সন্দেহ করা হলেও এখনো পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী দায় স্বীকার করেনি।
২০১৪ সালের মাঝামাঝি থেকে সৌদি আরবে আইএসের ধারাবাহিক হামলায় অনেকে নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই শিয়া মুসলিম ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য।
গেল বছর কাতিফে শিয়া অধ্যুষিত এলাকায় আত্মঘাতী বোমা হামলায় কয়েক ডজন মানুষ নিহত হওয়ার পর ওই এলাকার মসজিদগুলো ঘিরে নিরাপত্তা বাড়ায় পুলিশ ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা।
বছরখানেক আগে একটি মসজিদে আরেকটি আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১৫ জন নিহত হন।
এবছর রোজার শেষ দিকে মসজিদে নববীতে হামলার ঘটনা বিশ্বের বেশিরভাগ মুসলমানকে ‘স্তম্ভিত’ করেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
মুসলমানদের কাছে পবিত্র এ মাস ‘অবিশ্বাসীদের চরম দুর্দশা’ ডেকে আনবে, আইএস মুখপাত্রের এমন ঘোষণার পর জঙ্গিগোষ্ঠী এবং তাদের সমর্থকেরা মাসজুড়েই সারাবিশ্বে অনেকগুলো বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে।
এর মধ্যে ঢাকার গুলশান ও ইরাকের রাজধানী বাগদাদে হামলার ঘটনা রয়েছে।
গেল শুক্রবার গুলশানে হামলায় ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা, হামলা ঠেকাতে মারা যান আরও দুই পুলিশ সদস্য।
আর রোববার ভোররাতে বাগদাদের কারাদায় আত্মঘাতী হামলায় দেড়শতাধিক মানুষ মারা যান।
উভয় হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস।