1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:৩৩ অপরাহ্ন

দক্ষিণ সুনামগঞ্জে পূবালি ব্যাংকের সাবেক শাখা ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে গ্রাহকের টাকা আত্নসাতের অভিযোগ

  • আপডেট টাইম :: বৃহস্পতিবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯, ৩.৩০ এএম
  • ১৬৫ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ::
দক্ষিণ সুনামগঞ্জের পাগলাবাজার পূবালী ব্যাংক শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নের কান্দিগাঁও গ্রামের মৃত আবদুল বারীর ছেলে প্রবাসী বজলুর রহমান এ অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন তিনি।
অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ২২ ডিসেম্বর দুপুরে পূবালী ব্যাংকে তার হিসাব নম্বর থেকে টাকা উত্তোলন করতে গেলে সদ্য বিদায়ী শাখা ব্যবস্থাপক মিঠুন চক্রবর্তী চেক বই দেখার কথা বলে তার কাছ থেকে স্বাক্ষর করা চেক বইটি চেয়ে নেন। সরল বিশ্বাসে সে বই ব্যবস্থাপক মিঠুন চক্রবর্তীর হাতে দেন অভিযোগকারী। এ সুযোগে চেক বইয়ের ১৮ নং পাতাটি কৌশলে সরিয়ে ফেলেন তিনি। পরে অভিযোগকারীর হিসাব নম্বর থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা সরিয়ে ফেলেন তিনি। অভিযোগকারী কর্তৃক খোয়া যাওয়া টাকার খোঁজ করলে বর্তমান শাখা ব্যবস্থাপক মলয়কান্তি দাস টাকা বৈধভাবে চেকের মাধ্যমে উত্তোলন হয়েছে বলে জানান। বজলুর রহমান টাকা তুলেননি দাবী করে টাকা উত্তোলনের তারিখের সিসি টিভি ক্যামেরার ভিডিও দেখতে চান। কিন্তু তিনি দীর্ঘদিন হাঁটিয়ে ভিডিওটি দেখাননি।
এ ঘটনায় ইতোমধ্যে নানান তৎপরতা শুরু করেছেন অভিযুক্ত মিঠুন চক্রবর্তী। তিনি অভিযোগকারী ও স্থানীয় শালিশী ব্যক্তিদের ফোন করে বিষয়টি মন থেকে বাদ দেওয়ার জন্য একাধিক অনুরোধ করেন।
কান্দিগাঁও কেন্দ্রিয় জামে মসজিদের মোতাওয়াল্লী, ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমাকে ম্যানেজার সাহেব দু’তিনদিন ফোন দিয়ে অনুরোধ করেছেন বিষয়টি বাদ দেওয়ার জন্য। যদি তার মাঝে কোনো দুর্বলতা না থাকে তাহলে এমন অনুরোধ করবেন কেনো?’
অভিযোগকারী প্রবাসী বজলুর রহমান জানান, ‘আমি প্রবাসে থাকি। আমার চেক বইয়ে সব সময়ই স্বাক্ষর করা থাকে। ক’দিন হলো দেশে এসেছি। টাকা তুলতে গেলে ম্যানেজার বলেন টাকা তুলতে হলে নতুন চেক লাগবে। চেষ্টা করবো পুরাতন চেক বই দিয়ে টাকা তুলে দিতে। তখন আমি চেক বই দিই। এসময় তিনি ১৮ নং পাতাটি কৌশলে সরিয়ে নেন। এর পরই আমার একাউন্ট থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নাই।’
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে। তদন্ত সাপেক্ষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!