বিশেষ প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির এলাকা পরিচালক নির্বাচনে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগে সাংবাদিক সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন এক পরিচালক পদপ্রার্থী। একই এই অনিয়মের বিরুদ্ধে আইনী লড়াইয়ের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। শনিবার দুপুরে সুনামগঞ্জ পানসী রেস্টুরেন্টে সাংবাদিক সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন ২নং এলাকার পরিচালক প্রার্থী পীর মোহাম্মদ আলী মিলন। অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনায় পল্লী বিদ্যুতের স্থানীয় জেনারেল ম্যানেজার ও নির্বাচন কমিশন জড়িত বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পরিচালক প্রার্থী পীর মোহাম্মদ আলী মিলন জানান, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী বিধির ১৩ নং অনুচ্ছেদে ছবিসহ সার্টিফিকেধারীই সমিতির ভোটাধিকারের যোগ্য বিবেচিত হবেন মর্মে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করলেও বেশির ভাগ ভোটারই ছবিসহ সার্টিফিকেট পাননি। তিনি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ছাতকের ২নং এলাকার পরিচালক পদে বৈধ প্রার্থী হিসেবে বৈদ্যুতিক বাল্ব প্রতীকে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে ভোটারদের মধ্যে সাড়া ফেলেছেন। নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়ে তিনি ভোটারদের কাছ থেকে জানতে পারেন বেশিরভাগ ভোটারেরই ছবিসহ সার্টিফিকেট নেই। ইতোমধ্যে এই এলাকার ৭৫১৯-২ এলাকার ভোটার নূরুল আমিন ছবিসহ সার্টিফিকেট না পাওয়ায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। নূরুল আমিনের মতো অর্ধেক ভোটার ছবিসহ সার্টিফিকেট পাননি বলে অভিযোগ করেন তিনি। এই ত্রুটির বিষয়টি অবগত হয়ে তিনি গত ৪ ফেব্রুয়ারি সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাভূক্ত রিটার্নিং অফিসার ও নির্বাচন কমিশন প্রধান মো. আমিনুর রহমান খানের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করলেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তিনি অভিযোগ করেন যারা ছবিসহ সার্টিফিকেট পাননি এমন ভোটারদের বেশির ভাগই তার সমর্থক ও তার এলাকার ভোটারবৃন্দ। ষড়যন্ত্র করে তাকে পরাজিত করতেই এমন কৌশল নেওয়া হয়েছে বলে তিনি মনে করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি নির্বাচন বাতিল ও ছবিসহ সার্টিফিকেট প্রণয়ণ শেষে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনী পুন তপসিলের দাবিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানী মন্ত্রীর কাছে দাবি জানান।
সাংবাদিক সম্মেলনে তার সঙ্গে ভোটার ও সচেতন এলাকাবাসী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাজী আকিক মিয়া, এটিএম কয়েছ, আব্দুর রব, মাসুম আহমদ, আব্দুল জব্বার, আব্দুস সাত্তার, মাসুক মিয়া, সাজু মিয়া, আব্দুল কাইয়ূম, রোশন মিয়া, হাবিবুর রহমান, রাফি আহমদ প্রমুখ।