স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার কলাইয়া গ্রামের সম্ভাবনাময় মেধাবী ছাত্র সেন্টু রঞ্জন দাস। ডাক নাম এসডি অর্ক। অসম্ভব মেধাবী এই শিক্ষার্থী ভবিষ্যতে চিকিৎসা বিজ্ঞানী হতে চেয়েছিল। এসএসসি ও এইচএসসিতে গোল্ডেন এ প্লাস পাওয়া এই মেধাবী স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে ভর্তি হয়েছিল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগে। বর্তমানে সে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে ২য় বর্ষে (সেশন: ২০১৪-১৫) অধ্যয়নরত। সেখানেও সে তার মেধার পরিচয় দিয়েছে। জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তার যোগ্যতা, বিষ্ময়কর মেধা ও বিনয়ে মুগ্ধ। হাসিখুসি এই মেধাবী তরুণের চোখে মুখে এখন চিন্তার ভাজ। কারণ সম্প্রতি ডাক্তাররা এ শিক্ষার্থী বর্তমানে ক্যান্সারে ((খুসঢ়যড়সধ) আক্রান্ত বলে জানিয়েছেন। ডাক্তাররা জানিয়েছেন দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা গেলে মেধাবী এই ছাত্রটির জীবনরক্ষা করা সম্ভব। তার পরিবারের পক্ষে এই রোগের ব্যয়বহুল চিকিৎসা করা সম্ভব নয়। ফলে তারা সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেছেন। ভবিষ্যতে চিকিৎসা বিজ্ঞানী হয়ে মানুষকে বাঁচানোর স্বপ্ন দেখানো সেই তরুণকে আসুন সবাই মিলে সহযোগিতা করে সুস্থ তুলি।
জীবনের সাপ লুডু খেলায় পরাজিত হতে চায়না অর্ক। সে বাঁচতে চায়। তাই তাকে বাঁচাতে হলে জরুরি সহায়তার প্রয়োজন। যথাসময়ে তার চিকিৎসা করানো না গেলে অকালে ঝরে যাবে এই মেধাবী। সমাজের বিত্তবানদের এই তরুণের পাশে দাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন তার পরিবার, বন্ধু, শিক্ষক ও সহপাঠীরা। সবার সহযোগিতা পেলে অর্ক বেঁচে থাকবেইনা তার চিকিৎসা বিজ্ঞানী হয়ে মানুষের সেবা করার স্বপ্নটাও পূরণ হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে অর্কের পিতা কয়েক বছর আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। বর্তমানে তাদের আর্থিক অবস্থা শোচনীয়। তাকে বাঁচানোর জন্য পরিবারের সবাই নিজেদের সবটুকু সম্বল ও সঞ্চয় শেষ করে দিতে চান। তবুও তাদের সঞ্চয় ও সম্বল দিয়ে তার চিকিৎসা করানো সম্ভব নয়।
সবাই মিলে এগিয়ে এলে অবশ্যই একজন সম্ভাবনাময় মেধাবী তরুণকে বাচানো সম্ভব। আসুন আমরা যার যার অবস্থান থেকে মমতাসিক্ত হাতে অর্কের পাশে দাড়াই। তাকে জীবনের স্বপ্ন দেখাই।
তাকে সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা: ছাত্র সেন্টু রঞ্জন দাস, গ্রাম: কলাইয়া। পো. নীলপুল বাজার, থানা ও জেলা সুনামগঞ্জ।