স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জের বড়ছড়া শুল্কস্টেশনকে স্থলবন্দর ঘোষণার সম্ভাব্যতা বিষয়ে যাছাই-বাছাই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বড়ছড়াসহ দেশে আরো ৬ টি স্থলবন্দর বিষয়ে সম্ভাব্যতা যাছাই চলছে বলে গত রবিবার জাতীয় সংসদে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সংসদকে এ কথা জানিয়েছেন। বড়ছড়া স্থলবন্দর হিসেবে স্বীকৃতি পেলে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সহজে পণ্য ও যাত্রী যাতায়াতের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এতে সীমান্তের আর্তসামাজিক উন্নতি ঘটবে বলে মনে করেন সচেতন লোকজন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে বর্তমানে বড়ছড়া কেবল শুল্কস্টেশন হিসেবে কার্যক্রম চলছে। এক সময় চুনাপাথর ও কয়লা আমদানীর মধ্য দিয়ে নব্বই দশকে শুরু হওয়া এই শুল্কস্টেশনটি এখন খুড়িয়ে চলছে। এই শুল্কস্টেশনটি চালুর পর পশ্চাদপদ এই এলাকার মানুষের আর্ত সামাজিক উন্নতি ঘটেছে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি। একটি বিশাল শ্রেণির শ্রমিক গোষ্ঠীও তাদের দিনাতিপাত করেন শ্রমিক হিসেবে কাজ করে। স্থলবন্দর হিসেবে স্বীকৃতি পেলে বড়ছড়ায় আবার প্রাণ ফিরে আসবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে স্থলবন্দর হচ্ছে সীমান্তে আন্তদেশীয় পণ্য ও যাত্রী যাতায়াত এবং বিনিময় কাকর্যক্রম কেন্দ্র। স্থলবন্দরে শুল্ক, অভিবাসন, সীমান্ত নিরাপত্তা বিধান দপ্তর ছাড়াও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণমূলক দপ্তরসমূহের অবকাঠামো গড়ে তোলা হয়। এখানে আন্তদেশীয় পণ্য নিরাময় যাত্রী অভিবাসন কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণের নিমিত্তে পণ্যাগার, যাত্রী ছাউনী, অভ্যর্থনা কেন্দ্র, আমদানি-রপ্তানী দলিলাদী পরীক্ষা-নীরিক্ষার ব্যবস্থাসহ সংশ্লিষ্ট অবকাঠামো গড়ে ওঠে। স্থলবন্দরকে কেন্দ্র করে উভয় দেশে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়।
ব্যবসায়ী ও সচেতন মহল মনে করেন বড়ছড়া শুল্কস্টেশনটি স্থলবন্দর হিসেবে স্বীকৃতি পেলে তাহিরপুর উপজেলার আর্তসামাজিক উন্নতি ঘটবে। যার প্রভাব পড়বে পুরো জেলায়।