বিশেষ প্রতিনিধি ::
ধর্মপাশা উপজেলার ৫নং সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দুই কমিটি নিয়ে নেতাকর্মীরা বিভ্রান্ত। কোন কমিটি বৈধ আর কোন কমিটি অবৈধ তা জানেননা নেতাকর্মীরা। ফলে সাধারণ নেতাকর্মীরা দুই কমিটি নিয়ে রয়েছেন ধূ¤্রজালে। এই ইউনিয়নে এক কমিটিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হলেন আলাল মিয়া ও হুমায়ুন কবির। অপর কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হলেন আব্দুল জব্বার ও রফিকুল বারী চৌধুরী।
জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৩১ অক্টোবর আলাল মিয়া ও হুমায়ুন কবিরকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক করে কমিটির অনুমোদন দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল হাই তালুকদার। ওই কমিটির সুপারিশের আলোকে গত ইউপি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দেওয়া হয় তরুণপ্রার্থী ফরহাদ আহমদকে। ইউনিয়নের ওই কমিটির সুপারিশকৃত দলীয় প্রার্থীকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলমগীর কবির ও সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ বিলকিস প্রার্থীকে সুপারিশ করেন। এদিকে একই ইউনিয়নে ২০১৪ সনের ৩ নভেম্বর আব্দুল জব্বারকে সভাপতি ও রফিকুল বারী চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করে ৬৫ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন দেন উপজেলা আ.লীগের সভাপতি মনীন্দ্র তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই তালুকদার। এভাবে দীর্ঘদিন ধরে ওই দুই কমিটির পদবীধারী নেতারা দলীয় পরিচয় দিয়ে আসছেন। পৃথকভাবে তারা দলীয় কার্যক্রমও চালাচ্ছেন। জানা গেছে, গত ইউপি নির্বাচনে মনোনয়নকে কেন্দ্র করে উপজেলা আওয়ামী লীগের দু’টি বলয় তৈরি হয়। এসময় ৬টি ইউনিয়নে এভাবে পাল্টাপাল্টি কমিটি প্রদান করা হয় বলে জানা গেছে। বর্তমান উপজেলা কমিটি দলের ‘চেইন অব কমান্ড’ ফিরিয়ে আনতে আব্দুল হাই তালুকদার ও মনীন্দ্র তালুকদারের কমিটিকেই দলীয় কর্মসূচিতে সাংগঠনিক নিয়মে ডাকছে। তবে দুই কমিটির নেতারাই নিজেদের কমিটিকে বৈধ কমিটি বলে দাবি করছেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ বিলকিস বলেন, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দুটি বলয় সৃষ্টি হয়েছিল। ফলে বিভিন্ন ইউনিয়নে পাল্টাপাল্টি কমিটি গঠিত হয়েছিল। যিনি সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কমিটি অনুমোদন দিয়েছিলেন তিনি জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবরে ওই কমিটিতে স্বাক্ষর দেননি বলে জেলা নেতাদের জানিয়েছিলেন। তবে দলের শৃঙ্খলা রক্ষার্থে এখন মনীন্দ্র তালুকদার ও আব্দুল হাই তালুকদারের কমিটিকেই সাংগঠনিকভাবে কর্মসূচিতে ডাকা হচ্ছে।
আব্দুল হাই তালুকদার বলেন, আমি এ বিষয়ে এখন আপনার সঙ্গে কথা বলবো না। পরে ফোনে কথা বলব।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।