স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জের প্রতিবাদী মুক্তিযোদ্ধা ও হাওর আন্দোলনের নেতা মালেক হুসেন পীর ধর্মপাশা, তাহিরপুর ও জামালগঞ্জের হাওররক্ষা বাধের ৩১টি প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন। গত ৫ এপ্রিল থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত তিনি বাধগুলো পরিদর্শন করে ত্রুটি বিচ্যুতি সারানোর জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছেন। তবে তুলনামূলকভাবে অন্যান্য বারের এবার তার দেখা প্রকল্পগুলোর কাজ ভালো হয়েছে বলে জানান মালেক হুসেন পীর। এদিকে ধর্মপাশায় হাওরের ফসলরক্ষা বাধ পরিদর্শন গিয়ে মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায়ও আহত হন তিনি। পরে ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। উল্লেখ্য মালেক হুসেন পীর হাওরের ফসলরক্ষা বাধ পরিদর্শনের জেলা মনিটরিং কমিটির সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
মালেক হুসেন পীর গত ৫ এপ্রিল সোনামোড়ল হাওরের ৩১ নং প্রকল্প পরিদর্শনের মাধ্যমে হাওরের ফসলরক্ষা বাধ পরিদর্শন শুরু করেন। একই হাওরের ৩০, ৩২, ৪৩, ৩৮, ৪৪, ৪১ নং প্রকল্পের বাধগুলো পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে বাঁধের স্লোব ধসে যাওয়াসহ স্লোবের নিচে দুর্বাঘাস লাগানো হয়নি বলে তিনি দেখতে পান। যে কারণে স্লোবে বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। পরবর্তীতে তিনি ধানকুনিয়া হাওর, চন্দ্রসোনারতাল হাওরের ১নং পিআইসি, মধ্যনগরের গোড়াডুবা হাওর, চামারদানি ইউনিয়নের গুরমার হাওরের ৬২ নং প্রকল্প, গুরমার হাওরের ৬১ নং প্রকল্প পরিদর্শন করেন।
পরের দিন তিনি তাহিরপুর উপজেলার গুরমার হাওরের ২৫ নং প্রকল্প পরিদর্শনে এসে দেখেন স্লোব ঠিক নাই এবং স্লোবে দুর্বাঘাস লাগানো হয়নি। অল্প দুর্বাঘাস স্লোবের উপরের অংশে নামকাওয়াস্তে দেওয়া হয়েছে। এই হাওরের ৩০ নং প্রকল্প, শনির হাওরের ১৩ নং প্রকল্প, মাটিয়ান হাওরের ৬৫ নং প্রকল্প, ৬৪ নং প্রকল্প, ৬৩ নং প্রকল্প, ৬২ নং প্রকল্প, ৩৭ নং প্রকল্প ও ৩৮ নং প্রকল্প পরিদর্শন করেন। ৩৭-৩৮ নং প্রকল্পে স্লোবে কোন ঘাস লাগানো হয়নি। পরে ৩৯ নং প্রকল্প, ৪০ নং প্রকল্প, ৪১ নং প্রকল্প, ৪৩ নং প্রকল্প, ৪৪ নং প্রকল্প, ৪৫ নং প্রকল্প, ৪৬ নং প্রকল্প, ৪৭ নং প্রকল্প, বোয়ালমারা হাওরের ৪৮ নং প্রকল্প, ৫০ নং প্রকল্প, ৫৩ নং প্রকল্প পরিদর্শন করেন। ৫৩ নং প্রকল্পে এখনো কোন ঘাস লাগানো হয়নি। এই প্রকল্পের ক্লোজারেও বাসঘাস না থাকায় বাধটি ঝূকিপূর্ণ বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা। এছাড়াও শনির হাওরের ৯, ১০, ১১ ও ১২ নং প্রকল্প পরিদর্শন করেন।
মুক্তিযোদ্ধা মালেক হুসেন পীর বলেন, বাঁধে মোটামুটি সন্তোষজনক মাটি পড়েছে। তবে বেশিরভাগেরই স্লোব ঠিক নেই। দুর্বাঘাসও পরিমাণ মতো লাগানো হয়নি। কয়েকটি স্থানে ক্লোজারও অরক্ষিত রয়েছে। কারণ সেখানে সঠিক মতো বাস ও ঘাস কিছুই নেই। আমি বাঁধগুলো পরিদর্শন শেষে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে মৌখিকভাবে অবগত করেছি।