অনলাইন ডেক্স:: বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, যৌথ উদ্যোগে নেপালে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করে বাংলাদেশে আনা হবে। এ বিষয়ে উভয় দেশ একমত হয়েছে।
তিনি বলেন, নেপালের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও যোগাযোগ বৃদ্ধি করা হবে। বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত এবং নেপাল সড়ক যোগাযোগ (বিবিআইএন) বাস্তবায়নের জন্য ভারতের উপস্থিতিতে চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে, এখন তা বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া চলছে। বিবিআইএন কার্যকর হলে সরাসরি সড়ক পথ ব্যবহার করে পণ্য আমদানি-রপ্তানি করা যাবে।
বাংলাদেশে সফররত নেপালের বাণিজ্যমন্ত্রী রোমি গাওচান থাকালি -এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সাথে সচিবালয়ে আজ মতবিনিময় শেষে বাণিজ্যিমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এসব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, মংলা-খুলনা রেল সংযোগের কাজ সম্পন্ন হলে তা নেপালের সাথে যুক্ত হবে। আশা করা হচ্ছে ২০১৮ সাল থেকেই বাংলাদেশ-নেপাল রেল চলবে। তখন যাত্রি ও পণ্য পরিবহণে সুবিধা হবে এবং দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য খুব বেশি নয়, গত বছর মাত্র ২৭ দশমিক ২৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাণিজ্য হয়েছে। বাংলাদেশ রপ্তানি করেছে ১৭ দশমিক ৮৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য, একই সময়ে আমদানি হয়েছে ৯ দশমিক ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হলে নেপালের সাথে বাণিজ্য আরো বৃদ্ধি পাবে।
তিনি বলেন, নেপালের সাথে বাংলাদেশের বন্ধুত্ব দীর্ঘদিনের। কিছুদিন আগে নেপালে ভূমিকম্পের পর বাংলাদেশ ১০ হাজার মেট্রিক চাল এবং ঔষধ ও চিকিৎসক পাঠিয়ে নেপালের পাশে দাঁড়িয়েছিল। নেপালের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য বৃদ্ধির অনেক সুযোগ রয়েছে।
তোফায়েল আহামেদ বলেন, শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারসহ বাণিজ্য ক্ষেত্রে সুবিধা প্রদান করা হলে দু’দেশের বাণিজ্য অনেক বৃদ্ধি পাবে। নেপালের বাজারে বাংলাদেশের পাট, ঔষধ, ইলেকট্রনিক সামগ্রী, তৈরি পোশাক, প্লাষ্টিকসহ বিভিন্ন পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
নেপালের বাণিজ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের প্রশংসা করে বলেন, তার দেশ বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। যৌথ উদ্যোগে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করে তা বাংলাদেশে সরবরাহ করতে নেপাল আগ্রহী, সড়ক যোগাযোগ চালুর জন্য ইতোমধ্যে ভারতের উপস্থিতিতে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে, নেপালের সাথে বাংলাদেশের আকাশ পথে অন অ্যারাইভাল ভিসা চালু রয়েছে, বাংলাবান্ধা ও রহনপুরের চেকপোষ্টে সড়ক পথে অন অ্যারাইভাল ভিসা চালু হলে যাতায়াতে আরো সুবিধা হবে।
তিনি বলেন, নেপাল বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। নেপালের জলবিদ্যুৎ, পর্যটন এবং কৃষিখাতে বাংলাদেশের যেকোন বিনিয়োগকে স্বাগত জানানো হবে।