হাওর ডেস্ক::
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার আলাপুর গ্রামে মসজিদের ইমাম মানিক মিয়া ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন। পুলিশের কাছে তিনি বলেছেন, আমি ধর্ষণ করিনি ‘শয়তান আমাকে দিয়ে ধর্ষণ করিয়েছে।’ পুলিশ দাবি করেছে, মানিক মিয়া ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন।
রাতে ইমাম মানিক মিয়ার ঘরে আশ্রয় দেন এক কিশোরীকে। সেখানেই ওই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এরপর রক্তক্ষরণ অবস্থায় মেয়েটিকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।
এ ঘটনার পর শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে মানিক মিয়াকে গ্রেপ্তার করেন।
গ্রেপ্তারের পর মানিক মিয়া পুলিশকে জানায়, রোববার ৯টার দিকে এক কিশোরী তার কক্ষের দরজায় এসে ধাক্কা দেয়। দরজা খুললে ওই কিশোরী বলে সে বাড়ি থেকে অভিমান করে চলে এসেছে। রাত যাপনের জন্য তার কাছে আশ্রয় চায়। তিনি মেয়েটিকে আশ্রয় দেন। কিন্তু মাঝরাতে তিনি শয়তানের পাল্লায় পড়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করে ফেলেন।
শায়েস্তাগঞ্জ থানা সূত্র জানায়, আলাপুর এলাকার এক কিশোরী বাবা-মা’র সাথে অভিমান করে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। মেয়েটি রাত যাপনের জন্য অন্য স্বজনের বাড়ি যাচ্ছিল। পথে আলাপুর গ্রামের মসজিদের ইমাম মানিক মিয়া মেয়েটিকে রাতের বেলা একা দেখে তার সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।
মেয়েটি তার বাড়ি থেকে অভিমান করে বের হয়ে আসার কথা ইমাম মানিক মিয়াকে জানায়। এ সুযোগে ইমাম মানিক মিয়া মেয়েটিকে আশ্রয় দেয়ার কথা বলে নিজের ঘরে নিয়ে যান। রাতে তিনি মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন।
ধর্ষণের ফলে মেয়েটির রক্তক্ষরণ শুরু হলে সে বাড়ি ফিরে গিয়ে ঘটনাটি পরিবারের লোকজনকে জানায়। পরে স্বজনরা তাকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেন বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি আনিসুর রহমান জানান, ধর্ষণের ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেপ্তারকৃত মানিককে মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সেই সাথে ভিকটিমকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে প্রেরণ করা হয়েছে।