সাইফ উল্লাহ
হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোড়ে প্রকৃত ধান চাষীদের কাছ থেকে সরকারী ভাবে ধান ক্রয়ের লক্ষ্যে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে এ স্মারকলিপি দেওয়া হয়। স্মারক লিপিতে বলা হয়, কৃষকদের উৎপাদিত ধানের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে সরকারিভাবে ধান ক্রয়ের পরিমান বৃদ্ধি করতে হবে। নূন্যতম ৬০ শতাংশ জমিতে ধান চাষ করেছেন এমন কৃষকদের কাছ থেকেই ধান ক্রয় করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কৃষি সহায়তা কার্ড নীতিমালায় প্রয়োজনীয় সংশোধন করে ধান চাষী কৃষকদের আলাদাভাবে চিহ্নিত করতে হবে। কৃষকদের সুবিধার্তে প্রতি ইউনিয়নে সরকারি ধান ক্রয় কেন্দ্র খোলে ওই ইউনিয়নের কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করতে হবে।
তারা স্মারক লিপিতে উল্লেখ করেন, বর্তমানে বোর ফসলের মৌসুম চলছে। আমরা আশা করি কৃষকরা তাদের সোনালী ফসল শীঘ্রই ঘরে তুলবেন। এবছর কৃষি বিভাগের হিসাব মতে সারা জেলায় সম্ভাব্য উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ লাখ ৭৫ হাজার মে.টন। বড় কোন প্রাকৃতি বিপর্যয় না ঘটলে লক্ষ্য মাত্রা অর্জন সম্ভব হবে বলে আমাদের বিশ্বাস। আমরা উদ্বিঘœ বোর ফসলের বর্তমান বাজার মূল্য অনুযায়ী উৎপাদনের খরচের ৭০ শতাংশ ও উঠছে না। এক্ষেত্রে কৃষকদের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার একমাত্র মাধ্যম হলো সরকার তথা খাদ্য অধিদপ্তরের কাছে ধান বিক্রী করা।
আমরা জানতে পেরেছি এবার সরকারিভাবে সুনামগঞ্জ থেকে মাত্র ৩০ হাজার মে.টন ধান কেনা হবে। যা উৎপাদনের ৩.৪২ শতাংশ। যা নিতান্তই উদ্বেগের বিষয়। এছাড়াও সরকারি ক্রয় নীতিমালা অনুযায়ী জেলার ৩ লক্ষ ৪৯ হাজার জনের বেশী কৃষি সহায়তা কার্ডধারী যে কেউ (ধানচাষী হোক বা না হোক) খাদ্যগুদামে ধান বিক্রী করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে মাঠ পর্যায়ে দেখা যায়, ধানচাষী নয় অথচ কার্ড আছে এমন ব্যক্তিরাই সরকারি খাদ্যগুদামে ধান বিক্রী করছেন। আমরা আশা করি কৃষকের স্বার্থে উপরোক্ত বিষয়গুলো বাস্তবায়নে আপনি উদ্যোগ গ্রহণ করবেন ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট বজলুল মজিদ চৌধুরী খসরু, সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায়, সদস্য অধ্যক্ষ মো. রবিউল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক সালেহীন চৌধুরী শুভ, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরানুল হক চৌধুরী, অ্যাডভোকেট সবিতা চক্রবর্তী, অ্যাডভোকেট বাবলী প্রমূখ।