বিশেষ প্রতিনিধি::
পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও এনামুল হক শামীম বলেছেন, দেশের কৃষক হাসলে শেখ হাসিনাও হাসেন। কৃষকের চোখে কান্না দেখলে তাঁর মনও কাঁদে। উপমন্ত্রী বলেন, একদিন জননেত্রী শেখ হাসিনা ‘কৃষক বাঁচাও দেশ বাঁচাও’ শ্লোগান তোলে যে আন্দোলন শুরু করেছিলেন সেটি আজ সফলতা পেয়েছে। দেশ খাদ্যে তাঁর হাত ধরে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। তাঁর নির্দেশে আমাদের মন্ত্রণালয় সার্বক্ষণিক পরিশ্রম ও মনিটরিংয়ের মাধ্যমে হাওরের সুরক্ষিত বাঁধ নির্মাণ করে কৃষকের ফসল রক্ষা করেছে। তিনি কৃষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা নিশ্চিন্তে হাসিমুখে ধান কেটে ঘরে তুলুন। প্রধানমন্ত্রী আপনাদের উৎপাদিত ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করবেন। মঙ্গলবার বিকেলে সুনামগঞ্জের হাওর পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন। উপমন্ত্রী সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ ও ধর্মপাশা উপজেলার বিভিন্ন হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি ধানকাটা উৎসবেও শরিক হয়ে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেন।
হাওর পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন, সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য্য ড. মিজানুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক ভূইয়া, খুশিমোহন সরকার, স্থানীয় আওয়ামী লীগে নেতৃবৃন্দ, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
বেলা আড়াইটার দিকে উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম সুনামগঞ্জ এসে পৌঁছালে সার্কিট হাউসে দলের নেতাকর্মীরা তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। তাঁর সফরসঙ্গী হিসেবে সাথে আসেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য ড. মিজানুর রহমান, তাঁর স্ত্রী চিত্রশিল্পী নাজমা আক্তার, সিনিয়র সাংবাদিক পীর হাবিবুর রহমান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী নিজামুল হক।
হাওর পরিদর্শন শেষে সন্ধ্যার পর শহরে ফিরে এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের বাস ভবনে যান উপমন্ত্রী শামীম। রাতে সেখান থেকে সার্কিট হাউসে ফিরে এলে সদর উপজেলার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপল তাঁকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এ সময় তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গেও কুশল বিনিময় করেন।
এনামুল হক শামীম হাওর পরিদর্শনে গিয়ে কৃষকদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, আপনারা আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করবেন। তাঁর হাতে দেশ থাকলে আপনাদের ফসলই নিরাপদ থাকবে না, দেশের মানুষও নিরাপদ থাকবে। তিনি বলেন, এবারের বোরো মৌসুমে কোন হাওরের ধানে চিটা প্রসঙ্গেও খোজ নেন তিনি। আগামীতে ধানে চিটা রোধে আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন উপমন্ত্রী।