হাওর ডেস্ক::
ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’কে কেন্দ্র করে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে দেশের বিমান বন্দরগুলো। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। তবে এখন পর্যন্ত বিমান বন্দরগুলোর কার্যক্রম বন্ধ রাখা সংক্রান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি বেবিচক।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়েছে, ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার গতিবেগে ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়ছে ঘূর্ণিঝড় ফণী। এ কারণে কলকাতা বিমানবন্দর আজ শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে আগামীকাল শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন জায়গায় শুক্রবার দুপুরের পর ঝড়ের প্রভাব শুরু হতে পারে। মধ্যরাতের দিকে ‘ফণী’ বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে। উপকূল সংলগ্ন ১৯ জেলায় এই ঝড়ের জন্য বিশেষ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।
কক্সবাজার বিমানবন্দরের ম্যানেজার আবুল কালাম মো. সাইদুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের এখানে ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত বিমানবন্দরের কার্যক্রম সচল আছে। আবহাওয়ার পরিস্থিতি বেশি খারাপ হলে আমরা এয়ারলাইনসগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে সিদ্ধান্ত নেবো।’
যশোর বিমানবন্দরের ম্যানেজার মোহাম্মদ আলমগীর পাঠান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমাদের সব ধরণের প্রস্তুতি আছে যাতে কোনও ধরণের ক্ষয়ক্ষতি না হয়। তবে এখনই বিমানবন্দর ক্লোজ করার কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা সার্বক্ষণিক আবহাওয়ার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।’
রাজশাহীর শাহ মাখদুম বিমানবন্দরের ম্যানেজার মোহাম্মদ শেতাফুর রহমান বলেন, ‘বিমানবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ করার মতো পরিস্থিতি হয়নি। আমরা আবহাওয়ার পূর্বাভাস পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত নেবো। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বিমানবন্দরে যা যা ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন তাই নেওয়া হয়েছে।’
বরিশাল বিমানবন্দরের ম্যানেজার রথিন্দ্র নাথ চৌধুরী বলেন, ‘আবহাওয়া এখন পর্যন্ত বিমান চলাচলের উপযোগী রয়েছে। বিমান চলাচল অব্যাহত রয়েছে। পরিস্থিতি খারাপ হলে আমরা ব্যবস্থা নেবো। আমরা সর্তকতার সঙ্গে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ করছি।’
আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ আশরাফ উদ্দিন বলেন, ‘ঝড়ের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে এরইমধ্যে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ভারতের পুরিতে ঘূর্ণিঝড় ফণী আঘাত হেনেছে। আজ বিকালের দিকে ঝড়টি ওড়িশা উপকূল অতিক্রম করবে। এর প্রভাবে আজ সারা দিনই বাংলাদেশে থেমে থেমে বৃষ্টি হবে। মধ্যরাত নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রটা বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে।’
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদস্য (পরিচালনা ও পরিকল্পনা) এয়ার কমডোর মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের সময় বিমানবন্দরে কী ব্যবস্থা নিতে হবে তার স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর আছে, আমরা সে মোতাবেক ব্যবস্থা নিয়েছি। গতরাতেই দেশের সব বিমানবন্দরের পরিচালক, ম্যানেজারদের সঙ্গে কথা বলে প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত বিমানবন্দর বন্ধ করার মতো খারাপ আবহাওয়া নেই।’