স্টাফ রিপোর্টার, ছাতক
সুনামগঞ্জের শিল্পনগরী ছাতকে আওয়ামী লীগের দুই সহোদর গ্রুপের সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ৯৫ জনের বিরুদ্ধে পুলিশ এ্যাসল্ট মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলায় ছাতক পৌর মেয়র জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক আবুল কালাম চৌধুরী ওরফে কালাম চৌধুরীর সহোদর জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক শামীম আহমদ চৌধুরীকেও আসামী করা হয়েছে। একই মামলায় আসামী করা হয়েছে বরখাস্তকৃত ইউপি চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন সাহেল ও পৌর কাউন্সিলর তাপস চৌধুরীও আসামি হয়েছেন। সাহেলই অস্ত্র নিয়ে পুলিশের উপর গুলি চালায় বলে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
বুধবার থানার এসআই পলাশ সরকার বাদী হয়ে থানায় ওই মামলাটি দায়ের করেছেন বলে জেলা পুলিশের দায়িত্বশীল সুত্র নিশ্চিত করেন।
মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ৩’শ থেকে ৪’শ জনকে।
মামলায় পৌর মেয়রের এক ভাই ও চাচা সহ ২৮ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে বুধবার আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার বিকেলে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছাতক থানার ওসি গোলাম মোস্তফা জানান, মঙ্গলবার রাতে ছাতক পৌর শহরে পৌর মেয়র কালাম ছৌধুরী ও তার সহোদর শামীম আহমদ চৌধুরী সমর্থকদের বন্ধুকযুদ্ধ চলাকালে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ১৬৩ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ৫২ রাউন্ড গ্যাস গানের গুলি বর্ষণ করে। এ সময় বিবাদমান দু’গ্রুপের হামলায় আমি সহ থানার আরো ৬ পুশিশ সদস্য আহত হন।
মঙ্গলবার রাতের শিল্পনগরী ছাতকের সুরমা নদীতে নৌ পথে চাঁদাবাজির দ্বন্ধের জেল ধরে পৌর মেয়র কালাম চৌধুরী ও তার সহোদর শামীম চৌধুরী সমর্থকদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে সাহাবুদ্দিন নামের পৌর শহরের এক ভ্যান চালক নিহত হন। এছাড়াও ওসি সহ আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক লোকজন।
বুধবার রাতে সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. বরকতুল্লাহ খান জানান, ভ্যান চালক নিহতের ঘটনায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তিনি আরো বলেন, ছাতকের সার্বিক আইনশৃংখলা নিয়ন্ত্রনে হত্যাকান্ড এবং পুলিশের ওপর হামরার ঘটনায় যে বা যারাই জড়িত রয়েছে তাদেরকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে এসে বিচারের মুখোমুখি দাড় করানো হবে।