হাওর ডেস্ক::
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের গ্রিন টিসি হাউজিং প্রকল্পের বিষয়টি নজরে এসেছে। এটা দেখে আমি এক্সসাইটেড। প্রকল্পে তিন টাকার বালিশ তুলতে পাঁচ টাকা লাগলো কেন? বিষয়টি তদন্ত করতে রূপপুরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) টিম পাঠানো হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় এ বৈঠক শুরু হয়। প্রতিবছরই এনইসি সভায় এডিপি চূড়ান্ত করা হয়। সভাশেষে এক প্রশ্নের জবাবে একথা জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
পদ্মাসেতু ও মেট্রোরেলের মতো দেশের সব প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নে আগামী অর্থবছরের (২০১৯-২০) জন্য উন্নয়ন বাজেটের প্রধান অংশ তথা বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) খসড়া তৈরি করে পরিকল্পনা কমিশন। স্বায়ত্ত্বশাসিত সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ছাড়া এবার এডিপির আকার হবে ২ লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকা।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কেনাকাটা নিয়ে দু’টি তদন্ত চলছে। একটি পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্ট (পিডাব্লিউডি) অন্যটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের। আমরাও আইএমইডিকে দিয়ে তদন্ত করাবো। রূপপুরে টিম যাবে। এই টিম কি তথ্য দেয় তা প্রধানমন্ত্রীকে অবগত করা হবে। এর পরেই আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবো।
‘উন্নয়ন থেমে থাকবে না। দেশের উন্নয়ন চলবে। আমাদের দেশের সব উন্নয়ন ধরে রাখবো।’
সাংবাদিকদের ব্রিফ করছেন পরিকল্পনামন্ত্রী অন্যান্য মন্ত্রণালয় বাড়তি বরাদ্দ চেয়েছে কি এমন? প্রশ্নের জবাবে এম এ মান্নান বলেন, অন্য কোনো মন্ত্রণালয় বাড়তি বরাদ্দ চাইলে টাকার কোনো সমস্যা নেই। কোনো মন্ত্রণালয় বাড়তি চাহিদার কথা আমাদের বোঝাতে পারলে বাড়তি বরাদ্দ দেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন তুলে ধরে মন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের গবেষণা ও পাটে বিশেষ নজর দিতে বলেছেন। আমরা এই দু’টি বিষয়ের উন্নয়নে কাজ করবো। কিছু কিছু প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতি দেখা দিয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতির কারণ খুঁজতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।