হাওর ডেস্ক::
জিন-ভূত ভর করানো এবং তাবিজ-কবজের মাধ্যমে পাগল বানানোর ভয় দেখিয়ে মাদরাসাছাত্রকে বলাৎকার করেছে দেবীদ্বার দারুল উলুম হাফিজিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন দারুল উলুম নূর জামে মসজিদের ইমাম জহিরুল ইসলাম সিরাজী (৩৭)।
আজ সোমবার দুপুরে বলৎকারের শিকার ভিক্টিম মাদরাসাছাত্রের (১২) মা বাদি হয়ে দেবীদ্বার থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ইমামকে গ্রেপ্তার পূর্বক কোর্ট হাজতে চালান করে।
মামলার এজাহারের বর্ণনায় পুলিশ জানান, ইমাম জহিরুল ইসলাম সিরাজী উপজেলার উজানীজোড়া গ্রামের খন্দকার বাড়ির ভিক্টিম হাফেজিয়া মাদ্রাসাছাত্রকে (১২) গত ১৯ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৭টায় দেবীদ্বার মফিজ উদ্দিন আহমেদ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পার্শ্বের মোস্তাক আহমেদের একতলা বিল্ডিং’র উত্তর পাশে ইমাম জহিরুল ইসলাম সিরাজী তার ভাড়া বাসায় নিয়ে বলৎকার করেন।
শিশুটি তার মায়ের কাছে ঘটনা খুলে বললে তার মা সোমবার থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত দেবীদ্বার দারুল উলুম নূর জামে মসজিদ’র ইমাম জহিরুল ইসলাম সিরাজী ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবা উপজেলার বিনাইটি গ্রামের ভূঁইয়া বাড়ির মোঃ আক্তারুজ্জামান’র পুত্র এবং বলৎকারের শিকার ওই ছাত্র দেবীদ্বার দারুল উলুম হাফিজিয়া মাদ্রসার ছাত্র (১২)। ঘটনার দিন ওই ছাত্রকে জিন-ভূত ভর করানোসহ তাবিজ-কবজ এবং দোয়া কালামের মাধ্যমে পাগল বানিয়ে দেয়ার কথা বলে ভিকটিমকে (১২) বলাৎকার করে।
দেবীদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জহরুল আনোয়ার জানান, ভিক্টিম শিক্ষার্থীকে জিন-ভূত ভর করানোসহ তাবিজ এবং দোয়া কালামের মাধ্যমে পাগল বানিয়ে দেবে বলে ভয় দেখিয়ে ভিকটিমকে বলাৎকার করে। তার মায়ের অভিযোগে আসামি গ্রেপ্তারসহ কোর্ট হাজতে চালান করা হয়েছে।
(তথ্যসূত্র: কালের কণ্ঠ)