হাওর ডেস্ক::
স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে বেরিয়ে শিগগিরিই মধ্যম আয়ের দেশের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পাচ্ছে। ওইসময় থেকে বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর দেওয়া সুযোগ-সুবিধা বন্ধ হয়ে যাবে। মধ্যম আয়ের স্বীকৃতি পেলেই বাংলাদেশ বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। তাই আন্তর্জতিক সম্প্রদায় ও বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর দেওয়া বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ধীরে ধীরে কমানোর অনুরোধ জানাই।’
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) সদর দফতরে এসব কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ।
গত ২৭ মে শুরু হওয়া ইউএনএসকাপ’র ৭৫তম বার্ষিক সম্মেলনে অংশ নেওয়া বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পরিকল্পনামন্ত্রী। বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের আজ বৃহস্পতিবার (৩০ মে) ছিল শেষ কর্মসূচি। শেষ দিনে একটি সাইড ইভেন্টের আয়োজন করে বাংলাদেশ। এতে সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশকে দেওয়া আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এতো দিনের সুযোগ-সুবিধাগুলো ধীরে ধীরে সরানোর অনুরোধ জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।
ইউএনএসকাপ’র এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি আর্মিদা সালসিয়া অ্যালিসজাবানা, ভারত, কম্বডিয়া, লাউস, নেপালসহ অন্যান্য দেশের প্রতিনিধিরা এতে অংশগ্রহণ করেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ যে সাফল্য অর্জন করেছে এলডিসি থেকে উত্তরণে, এ নিয়ে তারা খুবই প্রশংসামূলক মন্তব্য করেছেন। তারা মনে করেন, আমরা সঠিক পথেই আছি। আমাদের শিগগিরই মধ্যম আয়ের দেশে অফিসিয়ালি স্বীকৃতি হবে।’
বাংলাদেশে ১৬ কোটি মানুষ, তারা খেত-খামারে, পোশাকে, শিল্পে পরিশ্রম করছেন। এক কোটির বেশি বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজ করছে। মূলত এসব কারণে বাংলাদেশের পক্ষে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ সম্ভব হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
এম এ মান্নান বলেন, ‘দেশের মানুষের পাশাপাশি আমাদের উন্নয়নে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও বন্ধু রাষ্ট্রের সহায়তা আছে। আমাদের দেশ যেহেতু মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হচ্ছে, কিছু কিছু সুবিধা আমরা যা পাচ্ছিলাম, এগুলো সরে যাবে। ফলে আমাদের ওপর একটা বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি রাষ্ট্রগুলোকে বলেছি, দেখেন, যে সুযোগ-সুবিধা আপনারা আমাদের দিয়েছেন, আপনাদেরও লাভ হয়েছে, আমাদেরও লাভ হয়েছে। আপনারা অনেক বেশি লাভ করেছেন। আপনাদের উন্নত জীবনযাত্রার মান চালিয়ে যাচ্ছেন- এটা আমাদের পরিশ্রমের ফলে। ফলে দু‘জনের স্বার্থেই আমরা মধ্যম ও উচ্চ আয়ের দেশে যেতে পারি, আপনারা নিজেদের স্বার্থেই আমাদের সহায়তা করবেন।’