সাজ্জাদ হোসেন শাহ্ :
ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের পদচারনায় মুখরিত ছিল সুনামগঞ্জের হাওর বেষ্টিত ভাটিরজনপদ পর্যটন এলাকা খ্যাত তাহিরপুর উপজেলার টাঙ্গুয়ার হাওরসহ সীমান্ত সংলগ্ন পর্যটন স্পটগুলি। ঈদের দিন থেকেই তাহিরপুরের উত্তর বাদাঘাট ইউনিয়নের মেঘালয় থেকে বয়ে আসা রুপের নদী যাদুকাটা ও তার তীর ঘেষা নয়নাভিরাম বারেকটিলা, আলহাজ¦ জয়নাল আবেদীন শিমুল বাগান, শহীদ সিরাজলেক, লাকমাছড়া ও ওয়ার্ল্ড রামসার হেরিটেজ মাদার ফিসাররিজ খ্যাত হিঝল, করছ, নল খাগড়া ও চাইল্যা বনের মহা সমারোহ, ২০ হাজার হেক্টর আয়তনের জলাভুমি ওয়াটার কিংডম টাঙ্গুয়ার হাওর। গত দু’দিনে সরেজমিনে এসব পর্যটন স্পট ঘুরে দেখা গেছে পর্যটকদেও ভীর। রাজধানী ঢাকা থেকে স্বপরিবারে বেড়াতে আসা পর্যটক শহিদুল ইসলাম খোকন বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বন্ধুদের মুখে এখানকার সৌন্দর্যের কথা শুনে পরিবারের লোকজন নিয়ে এখানে বেড়াতে আসলাম অনেক ভালো লেগেছে তবে অবকাঠামোগত উন্নয়ন না থাকায় অনেকাটা দুভোর্গ পোহাতে হয়েছে। এতো সুন্দও একটা উপজেলা শুধুমাত্র যোগাযোগ ব্যাবস্থা আর অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য অনেক পিছিয়ে রয়েছে। সরকার এখানে অবকাঠছামেগত উন্নয়ন করলে মোটা অংকের রাজস্ব পাবে। ভোলার লালমোহন থেকে আগত পর্যটক ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, অনেক সুন্দর একটা যায়গা এতো রিমোট অঞ্চলে এরক সুন্দর যায়গা আছে এটা নিজের চোখে না দেখলে কেউ বিশ^াস করবেনা। ময়মনসিংহ মহানগর ছাত্রলীগ নেতা নওশেল আহমেদ অনি বলেন, ঈদেও ছুটি সকল বন্ধু বান্ধব মিলে এখানে বেড়াতে এসেছি, যোগাােগ ব্যাবস্থা ভাল না থাকায় খরচ হয়েছে একটু বেশী তবুও অনেক ভাল লেগেছে। এখানে ট্যুরিষ্ট পুলিশের একটি ক্যাম্প থাকলে অনেক ভাল হতো। ধরমাপাশা উপজেলার বাদশাগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সামিউল হক সৌরভ বলেন, ১৯ ব্যাচের সব স্টুডেন্ট মিলে এখানে বেড়াতে এসেছি, অনেক ভালো লেগেছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় খরছ হয়েছে অনেক বেশী, ১৫ হাজার টাকা দিয়ে দু’দিনের জন্য ভাড়ায় নৌকা নিয়ে এসেছি। নৌকায়ই রান্না ভাড়া, থাকা খাওয়া সবকিছু। যোগাযোগ ব্যাবস্থা ভালো থাকলে করছ অনেক কম হতো। বিশ^ম্ভরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাহবুবুর রহমান, সুনামগঞ্জের শিল্পপতি জুয়েল আমিন বলেন, অনেক ভাল লেগেছে। যোগাযোগ ব্যাবস্থা ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন করলে সরকার এখান থেকে বিপুল পরিমান রাজস্ব পাবে। সেই সাথে নাগরিক নানা সুবিধা থেকে বঞ্চিত এ উপজেলায় নতুন একটি কর্মসংস্থানের দ্বার খুলে যেতো। তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আতিকুর রহমান বলেন, অনেক বড় এলাকা হওয়ায় পুলিশের পক্ষে সবকিছু কাভার দেয়া অনেক কষ্টের তবুও আমি যতোটা পারছি করছি। তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু চেšধুরী বাবুল বলেন, আমি মাননীয় সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতনকে নিয়ে সর্বাত্তক চেষ্টা করব যেন ঈদুল আযহার আগেই এখানে ট্যুরিষ্ট পুলিশের একটি ক্যাম্প স্থাপন করা হয়।