স্টাফ রিপোর্টার ::
দোয়ারাবাজার উপজেলার মান্নারগাঁও ইউনিয়নের হাজারীগাঁয়ে শ্বশুর কর্তৃক পুত্রবধূকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল সুনামগঞ্জে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ২১ মে দায়েরকৃত মামলায় একমাত্র আসামি করা হয়েছে ওই গৃহবধূর শ্বশুর মো. গোলাম মোস্তফা ওরফে গোলাপ মিয়াকে। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন পেশ করার জন্য দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ দিয়েছেন।
শ্লীলতাহানির শিকার ওই গৃহবধূ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের আগস্টে আসামি মো. গোলাম মোস্তফার ছেলের সাথে ভিকটিমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর একটি কন্যা ও একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন তিনি। বিয়ের পর থেকে স্বামী-সংসার নিয়ে গৃহবধূর দাম্পত্য জীবন সুখেই কাটছিল। প্রায় ৩ বছর আগে তার স্বামী মধ্যপ্রাচ্যের তুর্কি চলে যান। দুই সন্তানকে নিয়ে স্বামী সংসারেই থাকেন ভিকটিম। গত ২/৩ মাস আগ থেকেই তার শ্বশুর শারীরিক মেলামেশার জন্য তাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। ঘটনাটি গৃহবধূ তার প্রবাসী স্বামীকে ফোনে জানান। এক পর্যায়ে প্রবাস থেকে তার স্বামী তার পিতা গোলাম মোস্তফাকে ভৎর্সনা করেন। এতে গৃহবধূর প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন শ্বশুর গোলাম মোস্তফা। গত ১৬ মে রাতে ভিকটিম তার দু’সন্তানকে নিয়ে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ১টায় শ্বশুর গোলাম মোস্তফা গৃহবধূর কক্ষে ঢুকে তাকে শ্লীলতাহানি করেন।
এসময় ভিকটিমের ৬ বছরের কন্যা সন্তান ঘুম থেকে ওঠে ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করে। এক পর্যায়ে গৃহবধূর চিৎকারে তার শাশুড়ি এগিয়ে গেলে শ্বশুর দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে চলে যান। পরদিন এ ঘটনাটি ভিকটিম তার প্রবাসী স্বামীর কাছে মোবাইল ফোনে জানাতে চাইলে তার শাশুড়ি এতে বাধা দেন। শাশুড়ির বাধা উপেক্ষা করে স্বামীকে ঘটনাটি জানান ভিকটিম। এ কারণে শ্বশুর-শাশুড়ি তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। পরে স্বামীর অনুমতি নিয়ে ওই গৃহবধূ তার শ্বশুরের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
অভিযুক্ত মো. গোলাম মোস্তফা ওরফে গোলাপ মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি একজন বয়স্ক মানুষ। আমার বিরুদ্ধে আমার পুত্রবধূ যে অভিযোগ এনে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন তা সম্পূর্ণ সাজানো ঘটনা।