স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জের বহুল আলোচিত ধোপাজান বালু মহালে চাঁদাবাজদের লাগাম টেনে ধরতে অবৈধ চাঁদাবাজি বন্ধে জনসচেতনতামূলক ব্যানার সাটিয়ে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদের নেতৃত্বে প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ মহাল পরিদর্শনে গিয়ে জনগণের সঙ্গে চাঁদাবাজদের প্রতিরোধ করতে প্রচারণা চালান। এসময় তিনি জনস্বার্থে ও জনগণকে সচেতন করতে চাদাবাজি বন্ধের ব্যানার টাঙ্গিয়ে চাদাবাজদের তথ্য প্রশাসনকে জানানোর জন্য ব্যবসায়ী-জনতার প্রতি আহ্বান জানান। চাদাবাজদের তথ্য দিতে তিনি ব্যানারে নিজের নম্বরসহ প্রশাসন ও পুলিশের কর্মকর্তাদের নম্বরও দিয়ে আসেন।
জানা গেছে সুনামগঞ্জ সদর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নিয়ে বিস্তৃত ধোপাজান বালু পাথর মহাল। এই মহালে বালু পাথর আহরণে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন শত শত নৌকা আসে। এই নৌকা, ভলগেট ও কার্গো জাহাজ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে বালু পাথর পরিবহন করা হয়। বালু পাথর নিতে আসা নৌপরিবহনের সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে জোরপূর্বক অবৈধভাবে নানা খাত দেখিয়ে চাঁদাবাজি করছে কয়েকটি গ্রুপ। দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যে নদীতে নামে বেনামে চাদাবাজি হচ্ছে বলে অভিযোগ আছে। প্রায় দুই মাস আগে চাঁদাবাজদের হাতে প্রাণ হারান ইব্রাহিমপুরের মিজানুর রহমান নামের এক তরুণ ব্যবসায়ী। তাছাড়া বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে চাঁদাবাজরা নৌপরিবনের সংশ্লিষ্টদের জিম্মি করে ঘাটে ঘাটে চাঁদাবাজি করে। চাদা না দিলে নৌকা আটকে দিয়ে পরিবহন শ্রমিকদের নির্যাতনও করা হয়। ঈদের কয়েকদিন আগে ধোপাজানে সাত চাঁদাবাজকেও অবৈধভাবে চাঁদাবাজির ঘটনায় গ্রেপ্তার করে প্রশাসন। তারপরও চাঁদাবাজি বন্ধ করা যাচ্ছেনা।
ব্যবসায়ী-জনতার কাছ থেকে চাঁদাবাজির খবর পেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. হারুনুর রশিদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসমিন নাহার রুমা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গাজালা পারভিন রুহী, সদর থানার ওসি মোহ. শহিদুল্লাহসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ বালু মহাল পরিদর্শনে যান। এসময় এলাকার মানুষের সঙ্গে চাঁদাবাজি বন্ধে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালিয়ে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে তথ্য প্রদানের আহ্বান জানান। পাশাপাশি চাঁদাবাজির বন্ধের জন্য ব্যানার্র টাঙ্গিয়ে দেন তিনি। সংশ্লিষ্টদের নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে এধরনের ব্যানার টাঙ্গানোরও নির্দেশ দেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, আমরা প্রায়ই অভিযোগ পাই ধোপাজানে নামে বেনামে অবৈধভাবে বালু পাথর পরিবহন নৌকা থেকে চাদা আদায় হচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে আমরা অভিযান পরিচালনা করে চাদাবাজদের আটকও করেছি। আজ (১১ জুন) বালু মহাল পরিদর্শনে গিয়ে জনগণের মধ্যে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালিয়েছি। কিছু কিছু জায়গায় চাদাবাজি বন্ধের সাইনবোর্ডও টাঙ্গিয়ে এসেছি। এভাবে জেলার অন্যান্য বালু ও পাথর মহালেও অভিযান চালানো হবে।