1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:২০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

বাজেট: যেসবে কর কমছে, যেসবে বাড়ছে

  • আপডেট টাইম :: শুক্রবার, ১৪ জুন, ২০১৯, ৫.৪৯ এএম
  • ১৯১ বার পড়া হয়েছে

হাওর ডেস্ক::
কৃষি উপকরণ
কৃষি খাতের প্রধান উপকরণ বিশেষ করে সার, বীজ, কীটনাশক ইত্যাদি আমদানিতে শূন্য শুল্কহার অব্যাহত রাখা হচ্ছে। কৃষি যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ আমদানিতেও রেয়াতি শুল্ক হার অব্যাহত রাখা হচ্ছে, যে কারণে কৃষিপণ্য উৎপাদনে কীটনাশক ব্যবহার এবং আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের জন্য কোনো ব্যয় বাড়বে না। ধান চাষিদের ধানের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে চালের ওপর আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ এবং ২৫ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি অব্যাহত থাকছে।

শিল্পের কাঁচামাল
প্রধান প্রধান খাদ্যদ্রব্য (ডাল, গম, পেঁয়াজ, ভোজ্য তেল), সার, বীজ, কাঁচা তুলাসহ কয়েকটি শিল্পের কাঁচামালের ক্ষেত্রে বিদ্যমান শূন্য শুল্ক হার অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।

মৎস্য, পোল্ট্রি ও ডেইরি খাত
মৎস্য, পোল্ট্রি ও ডেইরি খাতের টেকসই উন্নয়ন ও বিকাশের লক্ষ্যে এ খাতের খাদ্যসামগ্রী ও উপকরণ আমদানিতে বিগত সময়ে প্রদত্ত রেয়াতি সুবিধা অব্যাহত রেখে নতুন উপকরণ ও যন্ত্রপাতি আমদানিতেও রেয়াতি সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।

স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্য
স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত লিফট, রেফ্রিজারেটর, কম্প্রেসর, এয়ার কন্ডিশনার, মোটর, মোল্ড এবং পাদুকাশিল্প সুরক্ষায় এসবের কিছু উপকরণ আমদানিতে শুল্ক হ্রাস করার প্রস্তাব করা হয়েছে। আমদানি করা মোটরসাইকেলের দাম বাড়ানো হলেও স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত মোটরসাইকেলের ওপর প্রদত্ত প্রণোদনা অব্যাহত রাখার প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে।

স্বর্ণের দাম
স্বর্ণ আমদানিতে শুল্কহার কমানোর প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। প্রতি ভরি স্বর্ণ আমদানিতে এক হাজার টাকা করে আমদানি শুল্ক কমানোর প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ আমদানি করতে শুল্ক দিতে হতো তিন হাজার টাকা। এটি দুই হাজার টাকা করার প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। এতে করে কমতে পারে দেশে তৈরি স্বর্ণালংকারের দাম।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলার যন্ত্র
দেশে বর্তমানে বজ প্রতিরক্ষার জন্য ‘লাইটিং অ্যারেস্টার’-এর ওপর বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে করে পণ্যটির দাম কমতে পারে।

অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র
অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি মোকাবেলায় সব প্রতিষ্ঠানকে রেয়াতি হারে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রপাতি ও উপকরণ আমদানির সুযোগ প্রদানের প্রস্তাবনার কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, মূসক নিবন্ধিত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি মূসক নিবন্ধিত সব সেবা প্রদানকারী যেমন হোটেল, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানকেও এ সুবিধা প্রদানের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর পাশাপাশি অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রপাতি ও উপকরণের তালিকায় আরো কয়েকটি প্রয়োজনীয় যন্ত্র ও উপকরণ অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাবও করা হয়েছে।

বিস্কুট, কেক, বনরুটি
দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করে পাউরুটি ও বনরুটি, হাতে তৈরি বিস্কুট ও কেক প্রতি কেজি ১৫০ টাকা মূল্যমান পর্যন্ত কর অব্যাহতি দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।

কৃষি যন্ত্রপাতি
কৃষি খাতে প্রণোদনার জন্য পাওয়ার রিপার, পাওয়ার টিলার অপারেটেড সিডরি, কম্বাইন হার্ভেস্টার, পাম্প, রোটারি টিলারের ওপর স্থানীয় উৎপাদন পর্যায়ে মূসক অব্যাহতি দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।

নারী উদ্যোক্তার শোরুম
নারী উদ্যোক্তা কর্তৃক পরিচালিত ব্যবসায় শোরুমের ওপর কর অব্যাহতির প্রস্তাবনা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।

অপরদিকে আমদানি করা গুঁড়া দুধ
বর্তমানে মূসক নিবন্ধিত গুঁড়া দুধ প্রক্রিয়াজাতকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য ৫ শতাংশ রেয়াতি হারে গুঁড়া দুধ আমদানির সুযোগ রয়েছে। দেশীয় ডেইরি ও দুগ্ধ খামারিদের সুরক্ষায় গুঁড়া দুধে বিদ্যমান রেয়াতি আমদানি শুল্কহার ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

চিনি
চিনি আমদানিতে র-সুগারের (অপরিশোধিত চিনি) ক্ষেত্রে প্রতি মেট্রিক টন দুই হাজার টাকা এবং পরিশোধিত চিনির ক্ষেত্রে সাড়ে চার হাজার টাকা হারে নির্ধারিত শুল্ক এবং ২০ শতাংশ হারে রেগুলেটরি ডিউটি বিদ্যমান আছে। তবে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে স্থানীয় চিনি শিল্প সুরক্ষার বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে। এ কারণে অপরিশোধিত প্রতি টন চিনির আমদানিতে নির্ধারিত শুল্ক দুই হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে তিন হাজার টাকা, পরিশোধিত চিনির ক্ষেত্রে নির্ধারিত শুল্ক সাড়ে চার হাজার থেকে বাড়িয়ে ছয় হাজার টাকা এবং এর সঙ্গে বিদ্যমান রেগুলেটরি ডিউটি ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এর সঙ্গে বিদ্যমান রেগুলেটরি ডিউটি ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

ভুট্টা, পার্টিক্যাল বোর্ড ও বৈদ্যুতিক গৃহস্থালি পণ্য
ভুট্টা, পার্টিক্যাল বোর্ড ও বৈদ্যুতিক গৃহস্থালি পণ্য আমদানির ওপর ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

টায়ার-টিউব
স্থানীয় মোটরসাইকেল উৎপাদন উৎসাহিত করার জন্য ২০১৭-১৮ অর্থবছর থেকেই শর্তসাপেক্ষে রেয়াতি সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। ওই প্রণোদনা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি মোটরসাইকেল ও এর যন্ত্রাংশ উৎপাদনে তিনটি উপকরণের শুল্ক সুবিধা যৌক্তিকীকরণ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। দেশীয় টায়ার-টিউব উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সুরক্ষায় ১৬ রিম সাইজ এলসিভি টায়ার, মোটরসাইকেল টায়ার এবং সিএনজিচালিত বেবি ট্যাক্সি, হালকা যানবাহনে ব্যবহৃত রাবার টিউবের ওপর বিদ্যমান রেগুলেটরি ডিউটি ৩ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

স্মার্টফোন
২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে স্মার্টফোন আমদানির ওপর শুল্কহার ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে ফিচার ফোনে আগের মতোই ১০ শতাংশ আমদানি শুল্ক রাখার কথা বলা হয়েছে। এতে করে স্থানীয় মোবাইল ফোন সংযোজনকারীরা উপকৃত হবেন। এ ছাড়া মোবাইল ফোনে কথা বলার খরচও বাড়বে।

আইসক্রিম
আইসক্রিমের ওপর ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক অরোপের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

ব্যক্তিগত গাড়ি পরিচালনা
যাত্রীবাহী বাস, স্কুল বাস, ট্রাক লরি, থ্রি হুইলার ও অ্যাম্বুল্যান্স বাদে ব্যক্তিগত গাড়ির রুট পারমিট, ফিটনেস সনদ, মালিকানা সনদ নবায়ন ও গ্রহণের ক্ষেত্রে পরিশোধিত চার্জের ওপর ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরো করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এতে করে ব্যক্তিগত গাড়ি পরিচালনায় খরচ বাড়বে। এ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে যানজট নিরসনের লক্ষ্যে।

আমদানি করা ভোজ্য তেল
আমদানি করা সয়াবিন তেল, পাম অয়েল, সান ফ্লাওয়ার তেল, সরিষার তেলের আমদানি পর্যায়ে মূসক আরোপ করা হয়েছে।

আমদানি করা প্লাস্টিক ও অ্যালুমিনিয়ামের জিনিসপত্র
আমদানি করা প্লাস্টিক ও অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি তৈজসপত্র আমদানিতে মূসক আরোপ করা হয়েছে।

আমদানি করা মোটরসাইকেল
দেশীয় উৎপাদকদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য আমদানি করা মোটরসাইকেলের ওপর শুল্ক বাড়ানো হয়েছে।

সিগারেট
নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম প্রতি ১০ শলাকায় দুই টাকা বাড়িয়ে ৩৭ টাকা এবং সম্পূরক শুল্ক ৫৫ শতাংশে অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব বাজেটে হয়েছে। মধ্যম, উচ্চ ও প্রিমিয়াম স্তরে সিগারেটের সম্পূরক শুল্ক ৬৫ শতাংশ অপরিবর্তিত রেখে শুধু মূল্য পরিবর্তন করা হয়েছে। মধ্যম মানের ১০ শলাকা ৬৩ টাকা, উচ্চমানের ১০ শলাকা ৯৩ টাকা এবং প্রিমিয়াম মানের ১০ শলাকা ১২৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

গুল, জর্দা
প্রস্তাবিত বাজেটে প্রতি ১০ গ্রাম জর্দার খুচরা মূল্য ৩০ টাকা এবং প্রতি ১০ গ্রাম গুলের খুচরা মূল্য ১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সেখানে সম্পূরক শুল্ক থাকবে ৫০ শতাংশ।

জ্যোতিষী ও ঘটকালি
টিভি ও অনলাইনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সরবরাহকারী, জ্যোতিষী ও ঘটকালি ইত্যাদি সেবার ওপর স্থানীয় পর্যায়ে কর আরোপ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া প্রাকৃতিক মধু আমদানিতে শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ, অলিভ অয়েলের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ, বৈদ্যুতিক বাল্ব তৈরির গ্লাসের সম্পূরক শুল্ক ১৫ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!