ঢেউয়ের সাথে খুশিতে মেতে মুখরা বুনোফুল।
বারে বারে নাড়ায় যে সে জলমুক্তার দুর ।
ধবল বক বাতাসে ভাসে দিয়ে ডানায় ভর ।
নীল আকাশ ফেলে ছায়া হাওর জলের ‘পর।
মাঝি যে এক মাল্লা দুজন ছইয়ের নাওখানা ।
যাবে কোথায় জানেনা কেউ বলতে নাকি মানা ।
ঘোমটার বউ চোখের জলে দেখে বাপের বাড়ি ।
কাঁদে শাপলা, শালুক কাঁদে গেয়ে দুখের সারি।
ভবঘুরে বন ভেসেই চলে ফেলে জলে আছড় ।
ডুবে ভাসে ভাব উল্লাসে মেখে জলের আদর।
কি হারিয়ে জলের ওপর উড়ে ভুবন চিল ?
মেঘভেলায় করে খেলা নীল আকাশের ঝিল।
বুনোফুলের পরাগ মেখে মাতাল পানকৌড়ি ।
পদ্ম পাতায় মত্ত শালিক ছড়ায় সুর লহরী।
জল ময়ূরের পুচ্ছে দোলে জল মুকতার কণা ।
মাঝে মাঝে কি বেদনায় কাঁদে আকাশখানা ।
বিন্দু বিন্দু দুখের চিহ্ন একে যে জলের গায়।
আহারে হায় !আকাশখানা ভাসে যে বেদনায়।
সাত সাগর তের নদী পাড়ি দিয়ে অবশেষে ।
চাঁদ সওদাগরের ডিঙ্গা থেমেছিল এখানে এসে ।
এখানে এসেই মধুমালা কেঁদেছিল বার বার ।
বাসর রাতে ফেলে তাকে কোথায় মদন কুমার।
পতিবিরহ মধুমালা সইতে না পেরে আর ।
দুখের এ গান মনটি ভরে গাইত বার বার ।
মেঘ সম্ভবা বাতাস আর পেটুক পালের না ।
আয়রে আয় সখার কাছে আমায় নিয়ে যা ।