জগন্নাথপুর প্রতিনিধি :
জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি সহকারির বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহনের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাছুম বিল্লাহ’র নিকট এক ভূক্তভোগী লিখিত একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ পত্র থেকে জানা যায়, ওই ইউনিয়নের রানীগঞ্জ বাজারের নিকটস্থ ইসলামপুর গ্রামের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম ৩ শতক সরকারি ভূমি দীর্ঘদিন ধরে ভোগ দখল করে আসছেন। বর্নিত ভূমি সরকারী বিধি মোতাবেক বন্দোবস্ত পাওয়ায় জন্য তিনি ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তহসীলদার) কৃষ্ণ কান্ত দাস নিকট গেলে ৫০ হাজার টাকা লাগবে বলে তহশীলদার তাকে জানান। আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সিন্ধান্ত হয় প্রথমে ২০ হাজার টাকা পরে ৩০ হাজার টাকা নিতে হবে। কথা অনুয়ায়ী তিনি প্রথমে ১৫ হাজার টাকা তহসীলদার কৃষ্ণ কান্ত দাস কে প্রদান করেন। তখন তহসীলদার তাকে বলেন সরকারী বন্দোবস্তের নিয়ম অনুয়ায়ী ওই ভূমিতে গৃহ নির্মান করার জন্য। তার কথা অনুসারে তিনি গৃহ নির্মান শুরু করলে কাজ শেষ পর্যায়ে হঠাৎ গত ৩০ অক্টোবর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী আরিফুর রহমান ঘটনাস্থলে পৌছে নির্মানকৃত ঘরটি ভেঙ্গে দেন। এতে তার ২ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেছেন।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী আরিফুর রহমান জানান, অবৈধভাবে সরকারী জায়গায় স্থাপনা নির্মানের কারনে তা উচ্ছেদ করা হয়েছে। স্থানীয় তহশীলদারের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহনের একটি লিখিত অনুলিপি পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাছুম বিল্লাহ জানান, লিখিত অভিযোগ এখনো পাইনি।