স্টাফ রিপোর্টার::
‘আমি আরএমও। আমার হাসপাতালে ডুকতে হলে আপনাকে পরিচয়পত্র দেখিয়ে, অনুমতি পেলে ডুকতে হবে। নাহলে ডুকতে দেবনা। এসময় সাংবাদিক, হাসপাতাল-থানায় সাধারণ মানুষ ডুকতে হলে কোন অনুমতি লাগেনা, ২৪ ঘন্টা ডুকতে পারে এ কথা বললে তিনি রাগে ফুঁসে ওঠেন। তিনি বলেন, আপনি সাধারণ জনতা নন, সাংবাদিক, তাই আপনাকে পরিচয় পত্র দেখিয়েই ডুকতে হবে।
শনিবার। বেলা তিনটা। ছাতকের ২০ সয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার (সদ্য আবাসিক মেডিকেল অফিসার) ডা. মোজাহারুল ইসলাম হাসপাতালের বাইরে নিজের বাসভবনে বসে প্রাইভেট রোগি দেখা অবস্থায় এভাবেই দেশের জাতীয় শীর্ষ একটি দৈনিক ও টিভির সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধির সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। ক্ষুব্দ কর্মকর্তা সাংবাদিকের সঙ্গে যুক্তিতে হেরে তিনি হাসপাতালে ডুকার অনুমতি দিলেও সাংবাদিক হাসপাতালে না ডুকেই চলে আসেন।
ডা. মোজাহারুল ইসলাম বলেন, ছাতক-সুনামগঞ্জসহ সারাদেশে ভূয়া সাংবাদিক ভরা। ছাতকের অধিকাংশ সাংবাদিকই ভূয়া। আপনাকে আমি চিনিনা। পরিচয়পত্র না দেখালে আমি আপনাকে ডুকতে দেবনা। এটা আমার হাসপাতাল। আমার আইনেই চলবে। এই আইন কোথায় পেলেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, খুজে দেখেন।
ডা. মোজাহারুল ইসলাম আরো বলেন, আপনি ক্যামেরা নিয়ে আমার হাসপাতালে ডুকতে পারেনা। আমার হাসপাতালে অনেক গোপনীয় কাজ হয়। সেখানে ডুকতে পারেন না।-হাসপাতাল জনগণের উন্মুক্ত সম্পদ, যে কেউ সংরক্ষিত এলাকা বাদে ডুকতে পারে। হাসপাতালে গোপনীয় কি কাজ করেন জানতে চাইলে তিনি প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান। সাংবাদিক ডাক্তারকে বলেন, তিনি পরিচয়পত্র দেখাতে বাধ্য নন। পারলে তার প্রতিষ্ঠান বা সিভিল সার্জনকে তার পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেন বলার পর তিনি বলেন, আমি তাদের কাছে জানতে চাইব কেন?
এক পর্যায়ে কথোপকথনে হেরে তিনি বলেন, যান ডুকেন। সাংবাদিক তখন হাসপাতালে না ডুকেই চলে আসেন।
এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. আশুতোষ দাস বলেন, পরিচয়পত্র দেখিয়ে হাসপাতালে ডুকতে হবে এমন কোন আইন নেই। তবে অনেকেই নিজ থেকেই পরিচয়পত্র দেখিয়ে থাকেন। কোন পেশাজীবীবে পরিচয়পত্র দেখিয়ে ডুকতে হবে একথা বলাটাও দম্বোক্তি।